শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম সারোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাকে বরখাস্ত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেন রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম।

বিস্তারিত আসছে...

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভাঙার শঙ্কা, উৎকণ্ঠা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, আগামী শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে গাজা থেকে সব জিম্মিকে মুক্ত করা না হলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রস্তাব দেবেন। এতে গাজায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ নেমে আসবে। সোমবার হামাস ঘোষণা দেয়, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কারণে পূর্বনির্ধারিত জিম্মি মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হচ্ছে। আগামী শনিবার কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাড়ি ফেরার পথে বাস্তুচ্যুতদের ওপর গোলাবর্ষণ, ত্রাণ আটকে দেওয়া, গুলি চালানোসহ নানা অভিযোগ তুলেছে হামাস।

দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, গাজার যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ সময় তিনি যুদ্ধবিরতি বাতিলের হুমকি ছাড়াও গাজার বাসিন্দাদের গ্রহণ না করলে জর্ডান ও মিসরে সহায়তা বন্ধেরও হুঁশিয়ারি দেন। এর আগে ট্রাম্প গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার বার্তা দিয়ে বলেন, স্থানটি দখলে নিয়ে তিনি আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চান। গাজা হবে পুরো বিশ্ববাসীর। যুদ্ধবিরতি বাতিলের এ হুঁশিয়ারির পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাসদস্যদের নির্দেশ পালনের জন্য সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ট্রাম্প হামাসকে ‘ভয়ানক’ বর্ণনা করে বলেন, ‘যদি আগামী শনিবার রাত ১২টার মধ্যে সব জিম্মির মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে আমি মনে করি, এটা (যুদ্ধবিরতি) বাতিলের উপযুক্ত সময় হবে। সব বাজি বন্ধ হোক; নরক নেমে আসুক।’ যে সময়সীমা তিনি দিচ্ছেন, তা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেওয়া নয় বলেও জানান ট্রাম্প। তবে হামাস বলছে, ট্রাম্পকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে, ইসরায়েলের জিম্মিদের বাড়ি ফেরানোর জন্য একমাত্র পথ যুদ্ধবিরতি চুক্তি।

সোমবার হামাসের সশস্ত্র শাখা কাশেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির বেশ কয়েকটি ধারার লঙ্ঘন করেছে। গত তিন সপ্তাহে তারা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফেরত আসার ক্ষেত্রে বাধা দিয়েছে; তাদের ওপর গোলাবর্ষণ ও বন্দুক হামলা চালিয়েছে; ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা। তার পরও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ বাহিনী তাদের কথা রেখেছে।

গত মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর মধ্যে পাঁচ দফায় পাল্টাপাল্টি জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এ পর্যন্ত ২১ ইসরায়েলি মুক্ত হয়েছেন। আর ইসরায়েল তাদের কারাগারে থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মধ্যে ৭৩০ জনকে মুক্তি দিয়েছে। আগামী শনিবার পরবর্তী বিনিমিয়ে তিন ইসরায়েলি ও কয়েকশ ফিলিস্তিনির মুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। আলজাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি চলাকালে উত্তর গাজায় ফেরার পথে ইসরায়েলের বাহিনী গুলি করে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।


ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জর্ডানের রাজা

জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ-২-এর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এমন এক সময় তিনি এ সাক্ষাৎ করছেন, যখন ট্রাম্প গাজার বাসিন্দাদের গ্রহণের জন্য জর্ডানের ওপর চাপ দিয়ে আসছেন। দুই নেতার আলোচনায় এ বিষয়টি প্রাধান্য পেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা এ বক্তব্যকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে বর্ণনা করেছেন। এরই মধ্যে আরব দেশগুলো ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। 

পশ্চিম তীরে অভিযান অব্যাহত

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২২তম দিনের মতো প্রাণঘাতী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। বিশেষ করে শরণার্থী শিবির জেনিনে এ অভিযান চলছে। এতে এরই মধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ