ছাগল নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল কৃষকের
Published: 4th, February 2025 GMT
হবিগঞ্জের বাহুবলে সেচের পাইপে ছাগল বেঁধে রাখা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুস সাত্তার মিয়া (৫৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় রোকেয়া বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বালিচাপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। বাহুবল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মৃত্যুর তথ্য জানান।
নিহত আবদুস সাত্তার হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বালিচাপড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। আটক রোকেয়া বেগম একই গ্রামের মোহাম্মদ ইয়াদ উল্লাহর স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে ৪ সাংবাদিককে আটকে মারধর, ‘গুলি’
কুষ্টিয়া পাউবো অফিসে গুলি চালাল সন্ত্রাসীরা
এলাকাবাসীর ভাষ্য, বালিচাপাড়া গ্রামের আবদুস সাত্তার মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশের জমিতে সেচ দিচ্ছিলেন। এ সময় তার প্রতিবেশী রোকেয়া বেগম একটি ছাগল সেচ যন্ত্রের পাইপে বেঁধে রাখেন। সেচ কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় রোকেয়া বেগমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আবদুস সাত্তারের। এ সময় পাশের জমিতে কাজ করছিলেন রোকেয়ার স্বামী মোহাম্মদ ইয়াদ উল্লাহ ও তার দেবর মো.
বাহুবল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ওই ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আবদ স স ত ত র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রিন্সেস ডায়ানা সম্পর্কে সাবেক প্রেমিক এমন কিছু তথ্য ফাঁস করলেন, যা বিশ্ব আগে জানত না
প্রিন্সেস ডায়ানা ও জেমস হিউইটের মধ্যে সম্পর্কটা ছিল ১৯৮৬–১৯৯১ সাল পর্যন্ত। হিউইটের কাছে ঘোড়া চালানোর প্রশিক্ষণ নিতেন ডায়ানা। সেই থেকে প্রেম। ১৯৯৫ সালে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে হিউইটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন ডায়ানা; বা বলা যায় স্বীকার করতে বাধ্য হন। আর এই সম্পর্কের বিস্তারিত উঠে আসে ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ লেখক আনা পাস্তারনাকের ‘প্রিন্সেস ইন লাভ’ বইয়ে। তাতে মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ডায়ানা। বইটির ওপর ভিত্তি করে সিনেমা ও সিরিজও তৈরি হয়েছে। যাহোক, সে সময় এমন গুজবও রটেছিল যে প্রিন্স হ্যারির বাবা নাকি এই জেমস হিউইট! যা পরবর্তী সময়ে মিথ্যা প্রমাণিতও হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে হিউইটের বক্তব্যসম্প্রতি জেমস হিউইট ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডায়ানা সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য ফাঁস করেছেন, যা বিশ্ব আগে জানত না। ৬৬ বছর বয়সী হিউইট জানান, ডায়ানা তাঁর দুই সন্তানের (প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি) সম্পর্কের অবনতি হলে কী হবে, সে বিষয়ে দুশ্চিন্তা করতেন (যা সময়ের সঙ্গে সত্যি হয়েছে)। জেমস হিউইট বলেন, ‘যেকোনো মায়ের বেলায় সন্তানদের সম্পর্কে চিড় ধরা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা স্বাভাবিক। তিনি (ডায়না) সব সময় দুই সন্তানের সম্পর্ক কীভাবে ভালো, বন্ধুত্বপূর্ণ রাখা যায়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন।’
আরও পড়ুনসুখী দাম্পত্য সম্পর্কে থেকেও কেন মানুষ প্রেমে পড়ে?১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ যেভাবে জীবন বদলে গিয়েছিলজেমস হিউইট এখন ইউক্রেনে যুদ্ধাহতদের পুনর্বাসনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি সর্বশেষ প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে কথা বলেছিলেন ১৯৯৫ সালে বিবিসির প্যানোরামার ওই সাক্ষাৎকারের পর। সে সময় ব্রিটিশ সাংবাদিক মার্টিন বশিরের প্রশ্নের উত্তরে প্রিন্সেস ডায়ানা তাঁদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিলে হিউইটের ব্যক্তি ও পেশাজীবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেমস তখনো ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে ‘মুভ অন’ করার জন্য ভেতরে ভেতরে সংগ্রাম করছিলেন।
বাঁয়ে তারুণ্যে জেমস হিউইট, ডানের ছবিটি কয়েক বছর আগের