বাস পোড়ানোর অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্কার
Published: 4th, February 2025 GMT
পাবনায় ২০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে একটি বাস পোড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত যুবদল নেতা রানু বিশ্বাসকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাবনা জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইলিয়াস আহমেদ হিমেল রানা ও সদস্য সচিব মনির আহম্মেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়েছে
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে পেট্রোল ঢেলে বাসটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তামিম ট্রাভেলস নামের বাসটির মালিক এনামুল হক।
আরো পড়ুন:
খুলনার বিএনপি নেতা শামীম বহিষ্কার
মাছ লুট করে বিক্রির অভিযোগ, বিএনপির ২ সদস্য বহিষ্কার
বহিষ্কৃত রানু বিশ্বাস মালিগাছা ইউনিয়নের রুপুপর গ্রামের রশিদ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি মালিগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পাবনা জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইলিয়াস আহমেদ হিমেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা যাবে তাদের সংগঠনে স্থান দেওয়া হবে না। যুবদলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করার সুযোগ নেই।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় রানু বিশ্বাসের নামে গাড়ি পোড়ানো মামলা দায়ের হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তামিম ট্রাভেলসের মালিক এনামুল হক অভিযোগ করেন, মালিগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানু বিশ্বাস তার কাছে মাসিক ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাস চলাচল বন্ধ ও পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার পর ৩টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে শংকরপুর গ্রামে দাঁড়িয়ে রাখা বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যারাডোনাকে বাসায় নিয়ে যাওয়াটাই ভুল হয়েছিল, বললেন চিকিৎসক
বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদরো আদালতে বিচার চলছে। ডিয়েগো ম্যারাডোনার শেষ দিনগুলোয় তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত সাতজন চিকিৎসক এই মামলায় অভিযুক্ত। ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুনানিতে এক চিকিৎসক নিজের সাক্ষ্যে বলেছেন, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনাকে বাসায় নিয়ে যাওয়াটা ভুল হয়েছে।
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সপ্তাহ দু-এক পর ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান ম্যারাডোনা। বুয়েনস এইরেসে এক অভিজাত এলাকায় ভাড়া করা বাড়িতে জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে ’৮৬ বিশ্বকাপের কিংবদন্তির। সে বাসাকে ‘হোম হসপিটাল’ বানিয়ে ম্যারাডোনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যারাডোনার দুই কন্যা দালমা ও জিয়ানিন্নার পক্ষের আইনজীবী ফের্নান্দো বার্লান্দো এর আগে শুনানিতে দাবি করেন, সেই বাসা কোনো রোগীর থাকার জন্য উপযোগী ছিল না, ‘বাসাটা ছিল শূকরের খোঁয়াড়ের মতো, এতটা নোংরা খুব কমই দেখা যায়।’
১৯৮৬ বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ডিয়েগো ম্যারাডোনা