হামলার শিকার হওয়ার পর প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি সাইফ
Published: 4th, February 2025 GMT
গেল ১৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ছয় বার ছুরিকাঘাতের পর রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। দুটি অস্ত্রোপচারের পর ২১ জানুয়ারি মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন ছোট নবাব। ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসলেও সোমবার প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাইফ আলী খান।
চলতি বছরে নেটফ্লিক্স একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমার নাম ঘোষণা করে। যার মধ্যে রয়েছে ‘জুয়েল থিফ: দ্যা হিস্ট বিগিংস’। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান ও জয়দীপ অহলাওয়াট। সে উপলক্ষেই সংবাদ সম্মেলনে হাজির ছিলেন সাইফ। হাসি মুখে ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে শারীরিক অবস্থা ও নতুন কাজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সাইফ বলেন, ‘আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পেরে ভীষণ ভাল লাগছে। এই ছবিটি নিয়ে আমি খুবই উত্তেজিত। আমি আর সিদ্ধার্থ এই সিনেমাটি নিয়ে দীর্ঘদিন অনেক আলোচনা করেছি। আমি সবসময় এই ধরনের ছবিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখেছি। তার মতো একজন ভাল সহ-অভিনেতার সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে আর তো কিছু বলার থাকতে পারে না।’
এদিকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই মুম্বাই পুলিশকে তদন্তে যথাসাধ্য সাহায্য করছেন অভিনেতা। সাইফকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া শরিফুল এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, পতৌদি পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দুই সন্তান তৈমুর ও জেহর ছবি তুলতে নিষেধ করাসহ বাড়ির বাইরে পাপারাৎজ্জিদের ভিড় কমানোর মত নিয়ম করে দিয়েছেন সাইফ-কারিনা। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এনআইডি নিজের অধীনে রাখতে ইসির চিঠি সরকারকে
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম নিজের অধীনে রাখার জন্য সরকারের কাছে অভিমত তুলে ধরেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে ইসি সচিব আখতার আহমেদ উল্লেখ করেছেন, এনআইডি অন্য কোনো দপ্তর বা কর্তৃপক্ষের অধীনে দেওয়া হলে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা খর্ব হবে। ভোটার তালিকা তৈরি ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হবে। তাই এ কার্যক্রম ইসির অধীনেই রাখা প্রয়োজন। চিঠিতে ইসি সচিব এনআইডি কর্মকর্তাদের দীর্ঘ ১৭ বছরের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেছেন।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা করে ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি, যার ভিত্তিতে নাগরিকদের দেওয়া হয় এনআইডি। এর পর ২০১১ সালে একটি সমৃদ্ধ তথ্যভান্ডার গড়ে তোলে কমিশন। বর্তমানে ইসির সার্ভারে সাড়ে ১২ কোটির মতো দেশীয় নাগরিক ও ১১ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কোনো রোহিঙ্গা বা বিদেশি যাতে ভোটার তালিকায় সম্পৃক্ত হতে না পারে এবং এনআইডি সংগ্রহ করতে না পারে, সে জন্য নির্বাচন কমিশন কয়েক ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এতে ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।