টেকনাফে এক লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
Published: 4th, February 2025 GMT
কক্সবাজার টেকনাফ সাবরাং সমুদ্র উপকূলে কোস্টগার্ড ও র্যাবের যৌথ অভিযানে মাদক পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ট্রলার থেকে এক লাখ ২০ হাজার ইয়াবা, চার বোতল ফেনসিডিল ও দুটি ধারালো দা উদ্ধার কর হয়েছে। পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো.
সোমবার দিবাগত রাত ১টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের সমুদ্র উপকূলের খুরেরমুখ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
এ বিষয়ে লে. কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, সোমবার মধ্যরাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে সমুদ্র উপকূলের খুরেরমুখ এলাকা দিয়ে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবরে কোস্টগার্ড ও র্যাবের একটি যৌথ দল অভিযান চালায়।
এ সময় সাগরে উপকূলের কাছাকাছি সন্দেহজনক একটি ট্রলার দেখতে পেয়ে যৌথ দলের সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেন। কোস্টগার্ড ও র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা ট্রলারটি তীরে ভিড়িয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। তাদের ধাওয়া দিলেও আটক করা সম্ভব হয়নি।
পরে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ট্রলারটি জব্দ করার পর তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ ও বস্তা উদ্ধার করা হয়। ব্যাগ ও বস্তাটি খুলে পাওয়া যায় ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা, ৪ টি ফেনসিডিল ও ২ টি ধারালো দা।
উদ্ধার করা মাদকগুলো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ধ্বংসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ডের এ গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা।
লে. কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, মাদকের চালানটি পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে টেকনাফ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপক ল
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।
তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।