লিফলেট বিতরণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ আটক ২
Published: 4th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণের অপরাধে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২০নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি জামান মিয়া ও কর্মী সাইদুল ইসলামকে আটক করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টায় বন্দর থানার সোনাকান্দা জামান অটোরিকশার গ্যারেজ থেকে জামান মিয়াকে ও রূপালী আবাসিক এলাকা থেকে সাইদুলকে আটক করা হয়।
জানা যায়, কেন্দ্রের নির্দেশনায় গত ২ দিন ধরে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ও থানা সোনাকান্দা এলাকায় লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তারা। পাশাপাশি নিজ অটোরিকশার গ্যারেজে লিফলেট বিতরণ করেন জামান মিয়া ও তার অনুসারী। পরে গতকাল এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আপলোড করা হলে মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ দুইজনকে আটক করে।
আটকের বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিতাইগঞ্জে কোকাকোলার গুদামে হামলার চেষ্টা, আটক ৪
নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জে কোকাকোলার এজেন্টের গুদামে গিয়ে সব ধরনের কোমলপানীয় ধ্বংসের হুমকি প্রদান ও হামলার চেষ্টার অভিযোগে চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- হামদাদ শরীফ রাইয়ান (২৪), মো. জহির (৩০), মো. রিয়াদ (২৭) এবং মো. সুজন (১৮)। তারা সবাই জেলা সদরের মুসলিমনগর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে নিতাইগঞ্জের নলুয়া রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার সময় বাপ্পী চত্বর এলাকার জাহিদ ওরফে জহিরের নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭ জন যুবক বাংলাদেশ বেভারেজ লিমিটেডের কোমল পানীয় কোকা কোলার পরিবেশক 'দি জামাল অ্যান্ড কোম্পানি'র গুদামে প্রবেশ করেন।
জাহিদ ওরফে জহির এবং তার সঙ্গে থাকা আজমীর শেখ সজলসহ সবাই নিজেদের তারেক জিয়া প্রজন্ম দল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন। তারা গুদামে মজুদকৃত কোকা কোলার সব ধরনের কোমলপানীয় পণ্য ধ্বংসের জন্য সেখানে দায়িত্বেরত নিরাপত্তা কর্মী ও অন্যান্য কর্মচারীদের হুমকি দেন এবং গুদামে হামলার চেষ্টাও করেন।
এ সময় হুমকি ও হামলার চেষ্টার বিষয়টি কোকা কোলার পরিবেশক ‘দি জামাল এন্ড কোম্পানি’র পক্ষ থেকে সদর থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হামদাদ শরীফ রাইয়ান, মো. জহির, মো. রিয়াদ ও মো. সুজন নামে চার যুবককে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকৃতরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে কিনা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নই। তবে তাদের সবার ব্যক্তিগত বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি এবং যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি।
তিনি আরও জানান, এ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আটককৃতরা একেকজন একেক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে।