দিনাজপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রাহুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সোমবার দিবাগত রাতে পঞ্চগড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আলমগীর হোসেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বাছারগ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।

পিবিআই দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনটি মামলার তদন্ত করছে পিবিআই। এরই ধারাবাহিকতায় আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুর জিলা স্কুলের সামনে শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রাহুলসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী একটি মিছিল বের করে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের তৎকালীন হুইপ ইকবালুর রহিমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উসকানিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ৩০০-৪০০ জন হামলা চালায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র, ক্ষতিকারক গ্যাস এবং ধারালো দেশি-বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ও গুলি ছোড়ে। এতে রবিউল ইসলাম রাহুল গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যান।

শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় রবিউল ইসলাম রাহুলের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। এছাড়াও ওইদিনের সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা তদন্ত করছে পিবিআই। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নারী নির্যাতনসহ ‘নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতিতে মানুষ চরম উদ্বিগ্ন: মির্জা ফখরুল

নারী-নির্যাতনসহ ‘সার্বিক নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারকে নারী নির্যাতনসহ সব ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বর্তমানে দেশে নারী নির্যাতনসহ নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক। এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নারীদের সম্মান রক্ষা এবং নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যা নারীদের সংবিধানস্বীকৃত অধিকার।’

বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রেও নারীরা যে, অগ্রগামিতা দেখাচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দেশের মতো বিদেশেও নারীরা প্রশসংনীয় ভূমিকা রেখে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রী, নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি ও হেনস্থা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদের হত্যা করা হচ্ছে।

ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে দেশে নারী নির্যাতন বেড়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়েছে, যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া দরকার : নিলয় আলমগীর
  • ধর্ষকের একটাই শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া দরকার : নিলয় আলমগীর
  • ‘ধর্ষকের একটাই শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া দরকার’ : নিলয় আলমগীর
  • ‘ধর্ষকের একটাই শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়া দরকার’ : নিলয় আলমগীর
  • ‘ধর্ষকের একটাই শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়া দরকার : নিলয় আলমগীর
  • নারী নির্যাতনসহ ‘নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতিতে মানুষ চরম উদ্বিগ্ন: মির্জা ফখরুল