চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের জবাবে এবার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানির ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। মঙ্গলবার এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বেইজিং। খবর রয়টার্সের

সম্প্রতি চীনা পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘোষণাটি আজ মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় ভোর ৫টা ১ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছে।

সিদ্ধান্তটি কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতেও শুল্ক বসাচ্ছে তারা। মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, খামারের সরঞ্জামাদি ও কিছু যানবাহন আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করবে বেইজিং। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে।

কানাডা, চীন ও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের বড় তিনটি বাণিজ্যিক অংশীদার। গত শনিবার কানাডা, মেক্সিকো ও চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপের আদেশ দেন ট্রাম্প। শনিবার এ-সংক্রান্ত তিনটি পৃথক নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। তবে চীনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলেও মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। প্রতিবেশী এই দেশ দুটি অবৈধ অভিবাসী ও মাদক পাচার ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় আসার পর ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত নেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প ক র যকর আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সালমান এফ রহমানের বিদেশের সম্পদ জব্দ, কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসামরিক, শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিদেশি দুই ব্যাংক হিসাব ও কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। 

সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানকালে সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ অন্যান্যদের নামে ব্যাংক হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ হস্তান্তর/স্থানান্তর/রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। এতে সফল হলে, অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। 

এজন্য সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সালমান এফ রহমানের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও তার সহযোগীদের নামে থাকা ৩৭২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব হিসাবে সর্বমোট ৫৫ কোটি ৬ লাখ ৪৭ হাজার ১১৭ টাকা রয়েছে। 

গত বছরের ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ