হবিগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু
Published: 4th, February 2025 GMT
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাদৈ এলাকায় সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ছাদ থেকে পড়ে সবুর আলী (৩৫) নামে এক নাইট গার্ডের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সবুর আলী সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের আউশপাড়া গ্রামের মৃত সাজেক আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সবুর আলী প্রতিদিনের ন্যায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাদৈ এলাকায় অবস্থিত সাব রেজিস্ট্রার অফিসে নাইট গার্ডের দায়িত্ব পালন করছিলেন। দায়িত্ব পালনের এক পর্যায়ে ৩য় তলার একটি বিল্ডিং থেকে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যায়। এ সময় বিষয়টি আচ করতে পেরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”
ঢাকা/মামুন/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘মাইগ্রেন’ কি ভয়াবহ কোনো রোগ?
চিকিৎসকেরা বলছেন, বিশ্বের অনেক মানুষ মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন মাইগ্রেন সারিয়ে তোলা যায় না। তাহলে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগলে করণীয় কী?
ভারতীয় নিউরোলজিস্ট ডা. অমিতাভ ঘোষ একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ মাইগ্রেনের ব্যথা টিপিক্যালি মাথার একদিকে হয়। হয়তো ডানে, নয়তো বামে। পরে ছড়াতে পারে। ব্যথা বেড়ে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু শুরু হয় একদিক থেকে। দপ-দপ করে। কারও কাছে মনে হতে পারে, কেউ মাথা পেটাচ্ছে। কেউ বলে মাথার ভেতর থেকে ফেটে বেরোচ্ছে। উজ্জ্বল আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট হয়। আওয়াজে কষ্ট হয়। রোগী ঘরের আলো নিভিয়ে শুয়ে থাকতে চায়। অনেকের বমি আসে। দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা হয়। অনেক সময় মনে হয় টেবিলে মাথা হেলিয়ে শুয়ে থাকি। বা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়তে ইচ্ছা হয়। এগুলো টিপিক্যাল মাইগ্রেনের লক্ষণ।
এই নিউরোলজিস্ট আরও বলেন, ‘‘মাইগ্রেন ভয়াবহ কোনো রোগ নয়। এটি সারিয়ে তোলা যায় না কিন্তু কমিয়ে রাখা যায়। অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যথা ঘন ঘন হতে পারে। আবার এক মাসে একবার নাও হতে পারে। বিশ্বের প্রতি পাঁচ জন নারী ও শিশুর মধ্যে একজন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রত্যেক দশ জনে একজন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্বের প্রায় এক শতাংশ মানুষ প্রত্যেক মাসে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ’’
আরো পড়ুন:
কীভাবে বুঝবেন গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্টের ব্যথা
ঘুম কম হয় কেন?
ডা. অমিতাভ জানান, যাদের ঘন ঘন ব্যথা হয় তাদের ওষুধ দেই যাতে ব্যথা কমিয়ে রাখা যায়। যাদের মাসে একবার মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয় তাদের নরমাল পেইন কিলার বা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। যদি ব্যথার মাত্রা বেশি থাকে তাহলে স্ক্যান করা লাগতে পারে।
ঢাকা/লিপি