দীর্ঘদিন ধরে আড়ালেই আছেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। বিয়ে ও সন্তান জন্মের খবর নিয়েও মুখ খোলেননি তিনি। এবার নেতিবাচকভাবে সংবাদ শিরোনামে এলেন এই নায়িকা। তার বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করেছেন নায়িকা পপির বোন ফিরোজা পারভীন। সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জিডি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, পৈতৃক জমি দখলের নেওয়ার জন্য স্বামী আদনান উদ্দিন কামাল, কল্লোল মজুমদার ও শিপনসহ পপি ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিববাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া বাড়ির সামনে যান। এতে বাধা দিলে পপি ও তার স্বামী ফিরোজা পারভীনকে হুমকি দেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, পপি ও তার স্বামী বর্তমানে খুলনায় অবস্থান করছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহায়তার ঘোষণা কানাডার

বাংলাদেশ ও ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ২৭২ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কানাডা। রবিবার (৯ মার্চ) দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হুসেন এ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। খবর গ্লোবাল নিউজের। 

আহমেদ হুসেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে এবং বৃহত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে কানাডার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ককে কানাডা আরো শক্তিশালী করছে। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তা দিয়ে আমরা বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছি।”

এই বিপুল পরিমাণ সহায়তা বাংলাদেশ ও ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ১৪টি প্রকল্পে ব্যয় করা হবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কানাডার ফেডারেল লিবারেল সরকার বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়।

ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প ও তার নতুন প্রশাসনিক দক্ষতাবিষয়ক বিভাগের প্রধান ইলন মাস্ক ৯০ দিনের জন্য মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেন। যার ফলে বিশ্বব্যাপী অনেকগুলো সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়। 

ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা বৈদিশিক সহায়তা প্রকল্পগুলোকে মার্কিন করদাতাদের অর্থের অপচয় হিসেবে দেখেন। তাদের মতে, এসব সহায়তা উদার রাজনৈতিক এজেন্ডা সমর্থন করে। তবে, তাদের বিরোধিতাকারীরা বলছেন, এই ধরনের ব্যয় আমেরিকানদের বিশ্বে অবস্থান বাড়ায় এবং অন্যান্য দেশের বিদেশি হস্তক্ষেপকে প্রতিরোধ করে।

কানাডার নতুন তহবিলের প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে— লিঙ্গ সমতা, নারীদের ও কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি ইত্যাদি। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, নাগরিক সম্পৃক্ততা জোরদার এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ