Samakal:
2025-03-14@10:49:04 GMT

নতুন প্রেমে মালাইকা!

Published: 4th, February 2025 GMT

নতুন প্রেমে মালাইকা!

বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা ও অর্জুন কাপুরের প্রেম জীবন নিয়ে বরাবরই মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। যখন থেকে তাঁদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে এসেছে, সকলেই জানতে চেয়েছেন তবে কি এ বার নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন? কার সঙ্গে ডেটিং করছেন অর্জুন? মালাইকা কি আরও একবার নতুন করে প্রেম খুঁজে পেলেন জীবনে? যদিও এই প্রথম প্রেম ভাঙেনি মালাইকার। অর্জুনের সঙ্গে ব্রেকআপের আগেও বিয়ে ভেঙেছে অভিনেত্রীর। তবে এখন প্রেম নিয়ে কী ভাবেন তিনি?
অভিনেত্রীর জীবনে এর আগেও দুটি সম্পর্ক ভেঙেছে। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এমতাবস্তায় অনেকের নেই প্রশ্ন, আর কি নতুন কাউকে তাঁর জীবনে এন্ট্রি দেবেন মলাইকা? নাকি ভবিষ্যতে একাই থাকতে চাইবেন? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ভক্তদের মনেও। ব্রেক আপের পর প্রেম নিয়ে কী ভাবছেন মালাইকা, সেই তথ্যও এ বার প্রকাশ্যে।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন মালাইকা। ওই ভিডিয়োতে প্রেম সম্পর্কে অভিনেত্রী খোলাখুলি কথা বলেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি মেয়ে সুন্দর পোশাক পরে আনন্দে নাচছেন। তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে জমিয়ে ছবি তুলছেন। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘ভালোবাসা ধৈর্যের, দয়ার। ভালোবাসা মানে ধীরে ধীরে মন হারানো।’
মালাইকার এই পোস্ট দেখে অনেকেরই মনে হচ্ছে, তবে কি তিনি এখনও প্রেমে বিশ্বাসী? নতুন প্রেম খুঁজে পাওয়ার আশায় এখনও রয়েছেন তিনি? এখন সকলে এটাই জানতে মুখিয়ে, কবে আবারও ভালোবাসার মানুষ আসবে তাঁর জীবনে। সম্প্রতি নিজের বিয়ের পরিকল্পনার কথা জানান অর্জুন কাপুর। অভিনেতা বলেন, ‘এখনও বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনা করিনি। তবে তেমন কিছু ভাবলে প্রথমেই সকলকে জানাবো। তবে আজ আমরা যদি শুধু সিনেমা নিয়ে কথা বলি, তা হলে ভালো হয়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি এর আগে বহু কথা বলেছি। বাকিদের আমার জীবন নিয়ে কথা বলার সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু আপাতত আর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে চাই না।’ 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ বন ন য় র জ বন

এছাড়াও পড়ুন:

আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় সুশাসন ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, প্রতিষ্ঠানটির স্বীয় সুশাসন লইয়াই প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়াছে, যাহা সম্পূর্ণ উচ্চশিক্ষা খাতের জন্যই উদ্বেগজনক। মঙ্গলবার সমকালে প্রকাশিত ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ঋণের মহোৎসব’ শিরোনামের প্রতিবেদনে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর সূত্রে জানা যাইতেছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করিয়াই কর্মকর্তাদের নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত বিপুল অঙ্কের ঋণ প্রদান করিয়াছে ইউজিসি। অনেক কর্মকর্তাকেই নিয়ম ভঙ্গ করিয়া প্রাপ্যতার অধিক ঋণ দেওয়া হইয়াছে। অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির অনেক কর্মী দীর্ঘ দিনব্যাপী চাকুরি করিলেও বাড়ি তৈয়ারিতে ঋণ পাইতেছেন না। অথচ একই ব্যক্তি একাধিকবার ঋণ গ্রহণ করিয়াছেন। 

উচ্চশিক্ষায় উদ্ভাবন ও গবেষণায় উৎকর্ষ অর্জনের মাধ্যমে টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়িয়া তুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কী ভূমিকা রাখিতে পারে, তাহা আমরা জানি। সেই ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে সার্বিক সুবিধা ও দিকনির্দেশনা দান ইউজিসির মূল কাজ, ইহাও জানি। কিন্তু সংস্থাটি সেই সকল দায়িত্ব কতটা সুচারুরূপে সম্পন্ন করিতেছে– উহা লইয়া প্রশ্ন বহুদিন যাবৎ। বিশেষত দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রশাসনে যেই প্রকার দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা প্রায়শ সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে আমরা জানিয়া থাকি, সেইখানেই উহা স্পষ্ট। এখন যখন ইউজিসির স্বীয় প্রশাসনে সাধারণ ঋণ লইয়া অনিয়ম ঘটিয়াছে বলিয়া অভিযোগ, তখন প্রতিষ্ঠানটি অন্যদের জবাবদিহি কীরূপে নিশ্চিত করিবে– সেই সন্দেহ প্রস্তরীভূত হয়। ধারণা ছিল, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে দেশে পট পরিবর্তনের তরঙ্গ ইউজিসির তটেও আঘাত হানিবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিতে সেই অর্থে সংস্কারের স্পর্শ লাগে নাই বলিলেই চলে। প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ পদে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটিলেও বাস্তবে তথায় ব্যক্তিরই পরিবর্তন ঘটিয়াছে; উহার পরিচালন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রত্যাশা পূরণ হয় নাই। সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউজিসিতে চেয়ারম্যানের এপিএস পদ না থাকিলেও প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র সহকারী সচিব নিজেকে জনপরিসরে এই পরিচয়ে পরিচিত করিয়া থাকেন। তাঁহার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগও বিস্তর। উপরন্তু, তাঁহার নামে বিপুল অঙ্কের ঋণ থাকিবার পরও তিনি বর্তমান কমিশনের আমলে আরও চার লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করিয়াছেন। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে ইউজিসির যেই প্রকার নৈতিক মান জরুরি, উহা এহেন অভিযোগের কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হইবে। ইহা স্বতঃসিদ্ধ, অন্যদের ভ্রান্তি চিহ্নিতকরণের পূর্বে নিজের পরিশুদ্ধ হওয়া জরুরি। আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও– কথাটা বাত কি বাত নহে। ইউজিসি নিজেকে সেই অবস্থানে দেখাইতে না পারিলে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ তাহাকে মান্য করিতে কিংবা তাহার নির্দেশনা পালনে গড়িমসি করিবার অবকাশ পাইবে।

আমরা জানি, দেশের উচ্চশিক্ষায় এখনও অনেক করণীয়। বিশেষ করিয়া জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর এই সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাইয়াছে। সেইখানে ইউজিসির কতটা ভূমিকা পালন করিয়াছে, উহা অনুধাবনযোগ্য। সপ্ত-মহাবিদ্যালয় সংকট ইউজিসির নিয়ন্ত্রণাধীন হইলেও এখনও উহার টেকসই সমাধান আসে নাই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এখনও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করিতে পারে নাই। এই সকল উচ্চশিক্ষাঙ্গনে অধ্যয়নের পরিবেশ নিশ্চিতে ইউজিসি কতটা উদ্যোগী–সেই প্রশ্নও কম শক্তিশালী নহে। অথচ ইউজিসি চাহিলে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে পূর্বেই ইহার কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা আনয়ন জরুরি।
আমরা প্রত্যাশা করি, ইউজিসির ঋণ লইয়া যেই সকল অনিয়মের অভিযোগ উঠিয়াছে, সেইগুলি গুরুত্ব সহকারে তদন্তপূর্বক সুরাহা করিবে। অনিয়মের সহিত সংশ্লিষ্টদিগের শাস্তির ব্যবস্থা করিয়া ইউজিসিকে এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করিতে হইবে, যাহাতে প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছ থাকিতে পারে এবং উচ্চশিক্ষায় তদারকিতে তাহার নৈতিক মান বজায় রাখিতে সক্ষম হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাফ গেমসের প্রস্তুতির জন্য ছয় মাস
  • এনবিআরে দুর্নীতি এখনও বন্ধ হয়নি
  • প্রকল্প পরিচালকের চাপে অফিসছাড়া ৫ কর্মকর্তা
  • দুই ভাগ হচ্ছে এনবিআর
  • ‘জীবনে বিয়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না’
  • ডাকাতি আতঙ্ক নিয়েই চলাচল
  • আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও
  • উন্নয়নের স্বার্থে এক সন্তান নীতি