ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
Published: 4th, February 2025 GMT
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, “স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা জরুরি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের দক্ষতা ও প্রতিযোগী মনোভাব তৈরি করতে হবে।”
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশনের মাল্টিপারপাস হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) অষ্টম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সেতু বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব),বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইর প্রশাসক, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ (এফটিএ) কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি গ্র্যাজুয়েট হতে যাচ্ছি। এই গ্র্যাজুয়েশনের কারণে সামনে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের ওপর বিভিন্ন নিয়ম আসবে। এতে আমাদের অর্থনীতিতে যে ধাক্কাটা আসবে, তা থেকে পরিত্রাণের নিয়ামক হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এ কারণে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে দক্ষতার মাধ্যমে। আর কোনো বিকল্প নেই।”
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের সময় আছে। আমি মনে করি, এটা দীর্ঘ সময়। যদি ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে আমরা গ্রাজুয়েট করি, আমি মনে করি, আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো একসাথে কাজ করলে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ সম্ভব।”
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, “আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি, ব্যবসা সহজ করতে হবে। আমরা সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়াতে চাই।”
ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্টের মূল উদ্দেশ্য— বাণিজ্য উদারীকরণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত বিধি-বিধান ও কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের প্রসার ও চলাচল ত্বরান্বিত করা।
ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্টের আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে তিনটি (এ, বি, সি) ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এ ক্যাটাগরির ২১টি কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউটিওতে পাঠানো হয়। বি ক্যাটাগরির ১৮টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ভিন্ন ভিন্ন সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। বি ক্যাটাগরির কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ডব্লিউটিওতে পাঠানো হয়। সি ক্যাটাগরির ১৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের সর্বশেষ সময়সীমা ২০৩০ সালের ৩০ জুন। ইতোমধ্যে সি ক্যাটাগরির পাঁচটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে এবং এ- সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ডব্লিউটিওতে পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট ১০টি কার্যক্রম চলমান আছে।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুবর্ণ-সোনার বাংলাসহ ১০ ট্রেনের সময় পরিবর্তন
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ট্রেন চলাচলের নতুন সময়সূচি কাল সোমবার থেকে কার্যকর হচ্ছে। নতুন সময়সূচিতে সুবর্ণ এক্সপ্রেসসহ পাঁচটি আন্তনগর ট্রেনের চট্টগ্রাম থেকে যাত্রার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। আর যাত্রার সময় পিছিয়েছে সোনার বাংলাসহ পাঁচ আন্তনগর ট্রেনের। তবে সুবর্ণ ও সোনার বাংলার ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় অপরিবর্তিত থাকবে।
ট্রেন চলাচলের সময়সূচিকে রেলের ভাষায় ওয়ার্কিং টাইম টেবিল (ডব্লিউটিটি) বলা হয়। সোমবার থেকে কার্যকর হবে ডব্লিউটিটি-৫৪। এর আগের ডব্লিউটিটি-৫৩ কার্যকর হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর।
ট্রেন পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত। একটি অঞ্চল যমুনা নদীর পূর্ব পাশে, যা পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে (ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট-ময়মনসিংহ বিভাগ) হিসেবে পরিচিত। আর যমুনা নদীর পশ্চিম পাশ নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে গঠিত (রাজশাহী-রংপুর-খুলনা বিভাগ)। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অধীনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন রুটে বর্তমানে ২৯ জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে।
ট্রেন চলাচলের নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ছাড়বে সকাল ৭টায়। আগে সাড়ে ৭টায় ছেড়ে যেত। ৪৫ মিনিট এগিয়ে আনা হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রার সময়। আগে সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে গেলেও এখন ছাড়বে বিকেল সোয়া ৫টায়।
তারাকান্দি থেকে ঢাকাগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ছাড়বে বিকেল সাড়ে ৫টায়, আগে ছেড়ে যেত সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। জামালপুর থেকে বিজয় এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশে এখন থেকে ১০ মিনিট আগে রাত ৮টায় ছাড়বে।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস এখন দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
এদিকে যাত্রার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পাঁচটি ট্রেনের। এর মধ্যে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস এখন থেকে ছাড়বে বিকেল ৪টায়। আগে ছেড়ে যেত বেলা সাড়ে ৩টায়।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের যাত্রার সময় ১৫ মিনিট পিছিয়ে বিকেল ৫টা করা হয়েছে। আগে পৌনে ৫টায় ছেড়ে যেত।ঢাকা থেকে জামালপুর এক্সপ্রেস এখন ছাড়বে বিকেল সোয়া ৫টায়। ভূঞাপুরগামী এই ট্রেন আগের সময়সূচি অনুযায়ী ছাড়ত বিকেল সাড়ে ৪টায়।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের যাত্রার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩০ মিনিট। এখন রাত সাড়ে ১০টার পরিবর্তে রাত ১১টায় ঢাকা ছাড়বে এই ট্রেন।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সোমবার থেকে ট্রেন চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা (সিওপিএস) মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রেলের নতুন টাইম টেবিলে কিছু ট্রেনের যাত্রার সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।