রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার লায়লা আখতার ফরহাদের করা মারধর, হত্যাচেষ্টা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। 

আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। এদিন আসামি মামুন আদালতে হাজির হন। তার পক্ষে আইনজীবী এ মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করেন। অপরদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। এসময় আদালত আসামি পক্ষের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লায়লার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মারধর, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন লায়লা। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তিন বছর আগে লায়লার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তার বিয়ের কথাবার্তাও চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারার ডিওএইচএস এর বাসায় বসবাস করতে থাকেন। এরপর থেকে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায় সময় মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় প্রবেশ করতেন। বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন। এমনকি মাঝে মধ্যে লায়লাকে মারপিট করতেন মামুন। এছাড়া বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পাঁয়তারা করতেন।

আরও জানা যায়, ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর লায়লা-মামুন উত্তরার একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাসায় আসেন। এসময় মামুনসহ আরও দুজন মদ পান করার জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করেন। এসময় লায়লা তাকে নিষেধ করেন এবং বাধা দেন।। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তিনি লায়লাকে মারধর করেন, হত্যার চেষ্টা করেন।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। পরে ওই বছরের ৩ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। পরদিন ৪ জুন মামুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আদালত প্রাঙ্গণে ইনু বললেন, আমি ঠিক আছি, চিন্তা করবেন না

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলাসহ দুটি হত্যাচেষ্টা মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন কুষ্টিয়ার একটি আদালত। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে কুষ্টিয়ায় পুলিশ প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়। কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায় ইনুকে। সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে আইনজীবীরা ছিলেন। পুলিশের কড়া পাহারার মধ্যে তার কিছু সমর্থকও হাজির হন আদালতে। সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন ইনু। আদালত কক্ষের কাঠগড়ায় তিনি ৪ থেকে ৫ মিনিট ছিলেন। বের হওয়ার পথে ওকালত নামায় স্বাক্ষর করেন। তিনি আইনজীবীদের বলেন, ‘আমি ঠিক আছি, আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না।’ 

বের হওয়ার সময় ইনুর দলের কর্মীরা প্রিজন ভ্যানের সামনে ভিড় করেন। এ সময় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে কিছু বলার চেষ্টা করেন। বাহাদুর নামের এক নেতাকে ইনু বলেন, ‘বাহাদুর ভালো থেক।’ এরপর পুলিশ তাকে দ্রুত গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। 

 ইনুর আইনজীবী তানজিলুর রহমান এনাম বলেন, ‘তিনি (ইনু) ওকালত নামায় স্বাক্ষর করেছেন। তিনি মানসিকভাবে শক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন। কোনো চিন্তা করতে বারণ করেছেন। তবে আদালতে তিনি কোনো কথা বলেননি। শুধু আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন।’ 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ জুলাই একটি মানহানির মামলায় কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিতে এলে হামলার শিকার হন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। পরে ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর মাহমুদুর রহমান নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার চার নম্বর আসামি হাসানুল হক ইনু। এছাড়া ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আহত শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এ মামলাতেও হাসানুল হক ইনুকে আসামি করা হয়। এ দুটি মামলায় আজ দুপুর আড়াইটার দিকে হাসানুল হক ইনুকে কুষ্টিয়ায় আদালতে হাজির করা হয়। 

কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কুঁসলি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, হাসানুল হক ইনু ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা হিসেবে হাসিনা সরকারের সব অপকর্মের দোসর। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার রূপকারও তিনি। এ মামলাটি ছাড়াও আরও একটি মামলাতে হাসানুল হক ইনু আসামি হওয়ায় তাকে পুলিশ শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে বিচারক বিধি অনুযায়ী তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদালত প্রাঙ্গণে ইনু বললেন, আমি ঠিক আছি, চিন্তা করবেন না
  • যবিপ্রবিতে পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীকে পাস করানোর অভিযোগ
  • ১ উইকেট নিয়েও যেভাবে ‘সবার ওপরে’ শামি
  • বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথ দেখায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ক্লাব
  • পিটার হাসকে হুমকি দেওয়া সেই মুজিবের স্ত্রী কারাগারে
  • কেঁচো সার তৈরি করে ঘুরে দাঁড়ালেন মুসলেমা
  • আইসিসি টুর্নামেন্টে ‘রাজা’ ভারত, ‘রানি’ নিউজিল্যান্ড
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্সে ভর্তি, আবেদনের সময় বৃদ্ধি, ক্লাস ২২ এপ্রিল
  • এক ভাইয়ের দাফন শেষ না হতেই আসে আরেক জনের মৃত্যুর খবর
  • চেলসির ২১ হাজার কোটি টাকার স্কোয়াডই ইউরোপে সর্বকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল