ক্যারিয়ার জুড়ে ভুরি ভুরি গোল করেছেন। তার সেই গোলে ভর করে জয়ও কম আসেনি। এই যেমন সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) রাতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে আল-ওয়াসলের বিপক্ষে আল-নাসরের হয়ে জোড়া গোল করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাতে আল-নাসরও পায় ৪-০ ব্যবধানের দাপুটে জয়। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে ক্লাব ফুটবলে ৭০০ জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেন পর্তুগীজ সুপারস্টার। শুধু তাই নয়, এটা ছিল সৌদি আরবের ক্লাবটির হয়ে রোনালদোর ৬৬তম জয়।

রোনালদো ২০০২ সালের আগস্টে তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর থেকে তার হিসাবের খাতায় জয়ের পরিসংখ্যান যুক্ত হতে শুরু করে। ২০২৫ সালে এসে সেই সংখ্যাটা ৭০০ স্পর্শ করলো।

২০০৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার আগে স্পোর্টিং সিপির হয়ে ১৩ ম্যাচে জয় পান ইউরো জয়ী তারকা। দুই দফায় ম্যানইউতে তিনি ৩৪৫ ম্যাচ খেলে ১৪৫ গোল করেন। সে সময় জয় পান ২১৪ ম্যাচে।

আরো পড়ুন:

পাওয়ার প্লে’তে ৯৫ রান তুলে ভারতের রেকর্ড

ইউরোপিয়ান মঞ্চে সালাহর বিশেষ ‘ফিফটি’

রিয়াল মাদ্রিদে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্বর্ণালী সময় পার করেন। সেখানে তিনি ৩১৫ ম্যাচে জয় পান। শিরোপা জিতেন ১৫টি। তার মধ্যে রয়েছে চার-চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা।

রিয়াল থেকে জুভেন্টাসে যোগ দিয়ে রোনালদোর ৯২টি জয়ের স্বাদ পান। আল নাসরে এসে পেলেন ৬৬ জয়ের স্বাদ। তাতে জয়ের সংখ্যা ছুঁলো ৭০০ কে।

তার সময়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারও অত্যন্ত বর্ণাঢ্য। কিন্তু মোট জয়ের হিসাবে তিনি বেশ পিছিয়ে আছেন রোনালদোর চেয়ে। ক্লাব ফুটবলে মেসি এ পর্যন্ত ৬১৩টি জয় পেয়েছেন। তার মধ্যে ৫৪২টি-ই পেয়েছেন বার্সেলোনার জার্সি গায়ে।

এদিন ম্যাচের ২৫ মিনিটে আলী আল-হাসানের গোলে লিড নেয় আল-নাসর। ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রোনালদোর পাওয়া গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। বিরতি থেকে ফিরে ৭৮ মিনিটে দারুণ একটি গোলে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন সিআরসেভেন। আর ৮৮ মিনিটে মোহাম্মেদ আল-ফাতিলের গোলে ৪-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় আল-নাসরের।

এটা ছিল সব ধরনের প্রতিযোগিতায় আল-নাসরের টানা চতুর্থ জয়। এই জয়ে এসিএল’র নকআউট পর্বে এক পা দিয়ে রেখেছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটি।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ড ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

৮ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে ৮ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাজেটের আকার এমন ধরেই আয়-ব্যয়ের খসড়া রূপরেখা তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামনে এটি তুলে ধরা হবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সংক্রান্ত সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান উপস্থিত থাকবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

সভায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে একটি সম্ভাব্য সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করবেন অর্থ সচিব। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয় ৬ লাখ ২ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। এর ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্যও ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল বাজেট রেখে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার। 
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে, আগামী অর্থবছরের যে বাজেট বরাদ্দ ধরা হয়েছে, তা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে দেওয়া হয়েছিল চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট। গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সম্পদ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বৈঠকে আগামী অর্থবছরের জন্য ৮ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটের খসড়া তুলে ধরা হয়। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আকার খানিকটা কমানো হয়েছে। আগামী জুনে এ বাজেট চূড়ান্ত করার সময় কিছু পরিবর্তন হতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি ও সরকারের আর্থিক সক্ষমতা বেশি না থাকায় আগামী বাজেটেও ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট হওয়া উচিত। 

জানা গেছে, আগামী বাজেটেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে কর্মসংস্থান বাড়ানো ও সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ব্যয় ৮ লাখ কোটি টাকার বেশিই ধরা হচ্ছে। কারণ অর্থ মন্ত্রণালয় মনে করছে, সরকারি ব্যয় বিশেষত উন্নয়ন ব্যয় একেবারে কমে গেলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না। 
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগামী অর্থবছরে সরকারি ব্যয়ের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। তবে প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এডিপির বাস্তবায়ন মাত্র ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কিছু রাজনৈতিক প্রকল্প কাটছাঁট করা হয়েছে। আবার কিছু প্রকল্পে পর্যালোচনা করে কমানো হয়েছে ব্যয়। একই সঙ্গে সম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে উন্নয়ন কাজে কাঙ্ক্ষিত গতি না আসায় এডিপি বাস্তবায়ন কমে গেছে। অর্থ বিভাগ মনে করছে, অর্থবছর শেষে এডিপির বরাদ্দের ১ লাখ কোটি টাকার বেশি অব্যবহৃত থেকে যেতে পারে। তাই আগামী বাজেটে বরাদ্দ যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনা হচ্ছে।

জানা গেছে, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে আগামী অর্থবছর দেশের অভ্যন্তরীণ খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে এবারই প্রথম করজাল সম্প্রসারণের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সম্ভাব্য আয়করদাতাদের চিহ্নিত করা হবে। বাজেটে আয়কর খাত থেকে বেশি রাজস্ব আদায়ের চেষ্টা করা হবে।
সূত্র জানায়, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য এনবিআরকে অন্তত ৫ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হতে পারে। চলতি বাজেটে সংস্থাটির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে সংস্থাটি প্রায় ৫৭ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএমজিএস কোর্স, সিজিপিএ ২.৫০ হলেই আবেদন
  • নেসকোতে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ৫ হাজার
  • স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি, পদ ১৪২
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)
  • ৮ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা
  • টঙ্গীতে শেষবারের মতো ইজতেমার অনুমতি পেল সাদপন্থিরা
  • ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুনীর চৌধুরী নাট্যোৎসব-২০২৫
  • শেষবারের মতো ইজতেমার অনুমতি পেল সাদপন্থিরা
  • সিদ্ধিরগঞ্জ নীট কনসার্ন অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল কাপ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন