তেঁতুলিয়ায় কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় উঠানামা করছে তাপমাত্রা। গতকাল সোমবার ১২ ডিগ্রি থাকলেও আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আজ সোমবার সকালে ৯টায় মেলেনি সূর্যের দেখা। তবে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে হাড় কাঁপানো শীত অনুভব করছে এ অঞ্চলের মানুষ। এ শীত নিম্নআয়ের মানুষগুলোকে কাজে যেতে দেখা গেছে। কেউ পাথর তুলতে, কেউ চা বাগানে, কেউ বীজতলা, কেউ ক্ষেত চাষ করাসহ দিনমজুরি কাজ করতে বেরিয়েছেন অনেকে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি কমে ১০ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুগিস ও বারিরার কাহিনি

সাহাবিদের মধ্যে বারিরা নামে এক আনসারি নারী ছিলেন ক্রীতদাসী। তাঁর স্বামীর নাম মুগিস। বারিরা তার মনিবের দাসত্ব মুক্ত হতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি তার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে দাসত্ব থেকে মুক্তির চুক্তি করেন। তাকে আর্থিক সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)।

 মুক্ত হওয়ার পর বারিরা তার স্বামীর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেন। ইসলামের বিধান হলো, কোনো বিবাহিত নারী দাসত্ব থেকে মুক্ত হলে তিনি তার বর্তমান বিয়ের বন্ধন ছেড়ে দেওয়ার ঐচ্ছিক স্বাধীনতা লাভ করেন। স্বামী তাকে ‘তালাক’ না দিলেও তিনি চাইলে স্বামীকে ছেড়ে আসতে পারবেন।

 বারিরা তাঁর স্বামী মুগিসকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মুগিস বারিরাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। তাকে পাওয়ার জন্য কাঁদতে কাঁদতে মদিনার অলিগলিতে তাঁর পিছু পিছু ঘোরেন। কিন্তু মুগিসের প্রতি বারিরার কোনো সমবেদনা হয়নি।

আরও পড়ুনআবু জাহেলের মা আসমা বিনতে মুখাররাবা (রা.) সাহাবি ছিলেন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবশেষে মুগিস ছুটে গেলেন নবীজি (সা.)-এর কাছে। নবীজি (সা.) বারিরাকে বলেন, ‘তুমি যদি তাঁর সঙ্গে ঘরসংসার করতে! সে তো তোমার স্বামী। তোমার সন্তানের পিতা।’

 বারিরা বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল(সা.), আপনি কি আমাকে নির্দেশ দিচ্ছেন?’

 তিনি বললেন, ‘আমি কেবল সুপারিশ করছি।’

 বারিরা বললেন, ‘তাকে আমার কোনো প্রয়োজন নেই।’

 আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, বারিরার স্বামীও ছিলেন একজন ক্রীতদাস। তাঁকে মুগিস নামে ডাকা হতো। আমি যেন এখনো তাকে দেখছি, তিনি বারিরার জন্য কেঁদে কেঁদে ঘুরছেন, আর তার দাঁড়ি বেয়ে অশ্রু ঝরছে। তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘আব্বাস, বারিরার প্রতি মুগিসের ভালোবাসা এবং মুগিসের প্রতি বারিরার অনাসক্তি দেখে আপনি কি আশ্চর্য হন না?’ (বুখারি, হাদিস: ৫,২৮৩)

আরও পড়ুনতিরন্দাজ এক সাহাবি০৯ নভেম্বর ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ