সাফকো স্পিনিংয়ের কারখানা বন্ধ পেল ডিএসই
Published: 4th, February 2025 GMT
পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের কারখানা সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে বন্ধ পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সাধারণত যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানি নিয়মিতভাবে তথ্য প্রকাশ করছে না এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না সেসব কোম্পানি পরিদর্শনে যায় ডিএসই। ঠিক একই কারণে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাফকো স্পিনিং মিলসের কারখানা পরিদর্শনে যায় ডিএসইর একটি প্রতিনিধিদল। সে সময় কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ পায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
সাফকো স্পিনিং মিলসের চলতি অর্থবছরের ৬ মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪) ব্যবসায় ১১৬ শতাংশ পতন হয়েছে।
কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ০৯ পয়সা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা। এতে করে ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি পতন হয়েছে ৬ টাকা ০৮ টাকা বা ২০৩ শতাংশ।
ঢাকা/এনটি/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এল ২১৮ কোটি ডলার
দেশে সদ্য সমাপ্ত জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার, দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৮৭৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসেবে)।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স ডিসেম্বর মাসের চেয়ে কমলেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা বেড়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার। গত ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৬৪ কোটি ডলার।
আরো পড়ুন:
ঋণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কমিটি
সেতু নির্মাণে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছাড়বে সরকার
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, এর মধ্যে রাষ্টায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫১ কোটি ১১ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৬০ লাখ, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৫৫ কোটি ১৫ লাখ, বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে দেশে এক হাজার ৫৯৬ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৯১ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০৫ কোটি ডলার।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে এবং আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বর ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে এসেছে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
ঢাকা/এনএফ/এসবি