লায়লা আখতারকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক আসামির অব্যাহতি আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রিন্স মামুন ও লায়লা আখতার আদালতে হাজির হন। মামুনের আইনজীবী মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন লায়লা আখতার। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় লায়লার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় বাস করতে থাকেন। এরপর থেকে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায় সময় মাদকসেবন করে গভীর রাতে বাসায় আসতেন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন মামুন। এমনকি মাঝে মধ্যে লায়লাকে মারপিট করতেন। বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পাঁয়তারা করতেন মামুন। ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাসায় ফেরেন তারা। এ সময় মামুনসহ আরো দুজন মদপানের জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করেন। লায়লা মামুনকে নিষেধ করেন এবং বাধা দেন। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে গালি দেন। গালি দিতে নিষেধ করলে মামুন লায়লাকে মারধর করেন ও হত্যার চেষ্টা করেন। 

মামলাটি তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। পরে ওই বছরের ৩ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। তবে পলাতক থাকায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরদিন ৪ জুন মামুন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বন্দ্বের জেরে হচ্ছে না চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচন

বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থিদের বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ পাঁচজন পদত্যাগ করেছেন।
 
মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক বরাবর একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সোলায়মান, নির্বাচনী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দত্ত, তারিক আহমদ, সাম্যশ্রী বড়ুয়া ও নুরুদ্দিন আরিফ চোধুরী।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সমিতির নির্বচন হচ্ছে না। জানা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় অ্যাডহক কমিটি গঠনের পথে হাঁটছে সমিতি।

মোহাম্মদ সোলায়মান পদত্যাগের কথা স্বীকার করলেও মন্তব্য করতে রাজি হননি। সমিতির বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন আর নির্বাচনের সুযোগ নেই। সাধারণ সভা করে দুই মাসের জন্য একটি অ্যাডহক কমিটি হবে। তারা পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করবে। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ১২০ বছরের ঐতিহ্য নষ্ট হলো। এ জন্য দায়ী রাজনীতিবিদ আইনজীবীরা।’
নির্বাচনে ২১ পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন ৪০ জন। ভোটার ৫ হাজার ৪০৪ জন। নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও জামায়াতে ইসলাম সমর্থিত বাংলাদেশ ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল যৌথভাবে ‘আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছিল।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘এই ফটো তোলোস কেন?’ সাংবাদিকদের শাহজাহান ওমর
  • ডিগ্রি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিট পাবেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা
  • চলতি হিসাবের সঙ্গে আর্থিক হিসাবও ইতিবাচক ধারায় ফিরল
  • দলবদলে লা লিগা–বুন্দেসলিগা–সৌদি প্রো লিগের চেয়েও বেশি খরচ করেছে ম্যান সিটি
  • দ্বন্দ্বের জেরে হচ্ছে না চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচন
  • জেনিথ ইসলামী লাইফের সব সূচকেই প্রবৃদ্ধি
  • লায়লাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু
  • নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, প্রতীক ফুলকপি
  • ছয় বছর পর অক্ষয়ের সেঞ্চুরি