বরগুনায় হত্যাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
Published: 4th, February 2025 GMT
বরগুনার তালতলীতে মো. আরাফাত খান নামে এক মোটরসাইকেল চালককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আরাফাত সিকদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম জহির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা আরাফাত সিকদার উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও একই ইউনিয়নের কলারং গ্রামের শহিদ সিকদারের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তালতলী উপজেলা ছাত্রদলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগের ভিত্তিতে তালতলী উপজেলার অধীনস্থ পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আরাফাত সিকদারকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, “কেন্দ্রীয়ভাবে আরাফাতকে বহিষ্কারের নির্দেশ পেয়ে বহিষ্কার করেছি। যদিও আমরাই তাকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করেছিলাম। কোনো অপরাধীদের জায়গা ছাত্রদলে নেই। এ ধরনের বিষয়ে আমরা পুলিশকে সহায়তা করবো।”
উল্লেখ্য গত শনিবার রাতে মো.
ঢাকা/ইমরান/ইমন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ন ত ছ ত রদল র স উপজ ল ত লতল
এছাড়াও পড়ুন:
এমএলএম ব্যবসা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের
দেশের জনগণকে পিরামিড বা পঞ্জি স্কিম মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বসাধারণের জন্য একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত সময়ে দেশে কতিপয় প্রতিষ্ঠান বিধিবহির্ভূতভাবে গ্রাহকের আমানত বা বিনিয়োগ সংগ্রহ, রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান এবং অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদানের নামে প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়েছে (যেমন যুবক, ডেসটিনি ইত্যাদি)। এ ছাড়া অস্বাভাবিক মূল্যছাড় বা ডিসকাউন্টে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানেরও পণ্য বিক্রির নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার নজির রয়েছে (যেমন ই–ভ্যালি)। অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদান এবং রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান করা পিরামিড বা পঞ্জি স্কিমের বা মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা অতীব ঝুঁকিপূর্ণ ও গ্রাহকের বিনিয়োগ হারানোর নজির তৈরি করেছে। এ রকম প্রতারণামূলক ব্যবসায়ে লাভ থেকে মুনাফা না দিয়ে একদল গ্রাহকের বিনিয়োগের অর্থ থেকে আরেক দল গ্রাহককে তথাকথিত মুনাফা প্রদান করা হয়। এ ধরনের প্রতারণা মানি লন্ডারিংয়ের আওতাভুক্ত অপরাধ বিধায় অতীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া লাইসেন্স ব্যতীত আমানত সংগ্রহ তথা ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ৩১ (১) ধারায় প্রদত্ত নির্দেশনার লঙ্ঘন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়েও একই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হওয়ায় তা বর্তমানে অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে। এমতাবস্থায় গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষা বিবেচনায় দেশের জনসাধারণকে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে লেনদেন করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত ও বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ প্রদান করা হলো।