বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান ‘দ্য বা***ডস অব বলিউড’ নামে ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছেন। গতকাল নেটফ্লিক্স আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে পুত্রের অভিষেক প্রজেক্ট নিয়ে কথা বলেন শাহরুখ। আরিয়ান পরিচালিত এই সিরিজে অভিনয়ও করেছেন এই বলিউড কিং।
স্ত্রী গৌরি খান, কন্যা সুহানা খান ও পুত্র আরিয়ানের সঙ্গে মঞ্চে দেখা যায় শাহরুখ খানকে। সন্তানদের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, “আমার প্রার্থনা, বিগত সময়ে মানুষের যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি, তার ৫০ শতাংশ যেন তারা (ছেলে-মেয়ে) পায়। এটাও অনেক পাওয়া হবে।”
আরিয়ানের ওয়েব সিরিজটি প্রযোজনা করছে শাহরুখ খানের রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট। অর্থাৎ অভিনয়ের পাশাপাশি সিরিজটিতে প্রযোজক হিসেবেও যুক্ত রয়েছেন শাহরুখ। প্রযোজক হিসেবে কর্মযজ্ঞ বর্ণনা করতে গিয়ে নিজেকে ‘ব্লাডি স্টার’ বলে মন্তব্য করেন এই নায়ক।
আরো পড়ুন:
বলিউডের ‘লাস্ট সুপারস্টার’ তারা!
‘কিং’ রূপে ফের ফিরছেন শাহরুখ
শাহরুখ খান বলেন, “সবকিছু উনারাই সামলে নেন, আমি শুধু নামে প্রযোজক। আমি আসলে একজন ব্লাডি স্টার, আসল কাজটা পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার আর প্রোডাকশন টিমের।”
জানা যায়, ৬ পর্বের এই ওয়েব সিরিজে ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে সালমান খান, শাহরুখ, রণবীর কাপুর, বাদশা ও ববি দেওলকে। গত বছরের মে মাসে সিরিজটির শুটিং শেষ করেন। চলতি বছরের শেষে নেটফ্লিক্সে এটি মুক্তির কথা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ইয়াংওয়ানের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে
নিজের ৭৮ বছর জীবনের অর্ধেকের বেশিই তিনি জড়িয়ে আছেন বাংলাদেশের সঙ্গে। আশির দশকে এ দেশের পোশাকশিল্পের যাত্রার শুরুতে তিনি ছিলেন এই শিল্পের যাত্রাসঙ্গী। তা–ও আবার হাতে গোনা কয়েকজনের মধ্যে একজন। শুধু তা–ই নয়, আশির দশকে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম বিদেশি বিনিয়োগকারী। বাংলাদেশের শিল্পের সঙ্গে সেই যে তাঁর যাত্রা শুরু করেছিলেন, এখন তা এক শিল্পসামাজ্যে রূপ নিয়েছে।
৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ও এর শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন কোরিয়ার বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং, পেলেন অন্য রকম এক স্বীকৃতি। বাংলাদেশের শিল্প খাতের বিকাশ ও বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান, বৈদেশিক আয়ের অবদানের জন্য তাঁকে দেওয়া হয়েছে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব (অনারারি সিটিজেনশিপ)। চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী দিনে তাঁর হাতে এই স্বীকৃতি তুলে দেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এর মাধ্যমে একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি পেলেন এ দেশের নাগরিক না হয়েও ‘সম্মানিত নাগরিক’ মর্যাদা।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে যাঁরা তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হলে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত ও সহজ করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পথচলা নিরাপদ ও মসৃণ করাও জরুরি। সেই সঙ্গে তাঁদের যথাযথ স্বীকৃতি ও সম্মাননা দিতে পারলে অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও তাতে সম্মানিত বোধ করবেন।
এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনের মূল আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডা। সংস্থাটি এ দেশের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ‘বিনিয়োগ অ্যাম্বেসেডর বা বিনিয়োগ দূত’ হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চায়। এ জন্য ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদানের মাধ্যমে এ দেশের বিনিয়োগ দূতের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় তারা। বিডা মনে করছে, কিহাক সাংয়ের হাত ধরে এ দেশে কোরীয়সহ বিশ্বের আরও অনেক বিনিয়োগকারীর বড় ধরনের বিনিয়োগ আসবে বা আনতে কাজ করবেন।
বিডার এই ভাবনা যে একেবারে অমূলক নয়, তার প্রমাণও এরই মধ্যে পাওয়া গেছে। এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনে কোরিয়ার আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিনিধিদল এসেছে। ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং নিজ উদ্যোগে কোরিয়া থেকে এসব বিনিয়োগকারীকে বাংলাদেশ সফরে নিয়ে এসেছেন। সফরকারী কোরিয়া বিনিয়োগকারীদের দলটি গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেখানে তারা বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
কিহাক সাং