বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারত থেকে এলো আরো ১২৫ টন চাল
Published: 4th, February 2025 GMT
পাথরের পাশাপাশি চাল আমদানিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। বন্দরটিতে কয়েক দফায় এসেছে টনের পর টন চাল।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্দরটিতে ভারত থেকে এসেছে পাঁচ ট্রাকে ১২৫ মেট্রিক টন আতপ চাল।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাল আমদানির তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, “ভারত থেকে আবার ১২৫ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি হয়েছে। এ চালগুলো আমদানি করেছে আল আমিন স্ট্যাবিলিসড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। গতকাল সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ২৫ মেট্রিক টন করে চাল নিয়ে পাঁচটি ট্রাক ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।”
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন বলেন, “গতকাল সোমবার আবারো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি পণ্যবাহী ট্রাকে ১২৫ মেট্রিক টন ভারত থেকে আতপ চাল এসেছে। বন্দরে আসার পর এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এভাবে নিয়মিত চালসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পণ্য আমদানি করা হলে আমাদের দেশে ভোগ্যপণ্য জিনিসপত্রের দাম কমবে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর স্থলবন্দরটি দিয়ে ভারত থেকে পৃথক ভাবে আতপ চাল আমদানি হয়েছে। বন্দরটি ৯৫ শতাংশ পাথর নির্ভর হলেও বর্তমান চালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হচ্ছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, “ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি দিয়ে চাল আমদানি হচ্ছে। এ পোর্ট দিয়ে যাতে আরো কিছু আমদানি করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছি ও উদ্বুদ্ধ করছি।”
ঢাকা/নাঈম/ইমন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ট র ক টন চ ল আমদ ন আতপ চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হলো ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানি হয়েছে। শেখ ট্রেডার্স নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চালগুলো আমদানি করে। সোমবার দুপুরে স্থলবন্দরের ইয়ার্ডে এসব চাল আনলোড করা হয়।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫ মেট্রিক টন করে চারটি ট্রাক বন্দরের ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এর আগে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এবং ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর পৃথক দফায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আতপ চাল আমদানি হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর মূলত ৯৫% পাথর আমদানির ওপর নির্ভরশীল হলেও বর্তমানে চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যও নিয়মিত আমদানি হচ্ছে। শেখ ট্রেডার্সসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এসব চাল আমদানি করছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল বন্দরে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। নিয়মিত এভাবে চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য আমদানি করা হলে দেশের বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, ‘‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ভৌগলিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে চাল আমদানি হচ্ছে, যা বাজারের স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখবে। আমরা আরও কী কী পণ্য আমদানি করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং তাদের উৎসাহিত করছি।’’
চালের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দেশের অর্থনীতিতে আরও ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।