পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ৪০
Published: 4th, February 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকার মহাখালীর বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, শাহেরা খাতুন (৮০), সাহারা বেগম (৫০), ফাতেমা বেগম (৪২), আছমা আক্তার (৪৮), আছমা বেগম (৩৫), রাফিয়া আক্তার (২৭), মুনতাহা আক্তার (২৭), আদিল মিয়া (৩০), নারায়ণ চন্দ্র দাস (৪৫), বাচ্চু মিয়া (৪০), মারুফা খাতুন (১৭) মার্জিয়া খাতুন (১১), আব্দুর রহমান (৬), শারিয়া ইসলাম (৭), মৌসুমি আক্তার (৯), ইয়াছিন মিয়া (১২), তানজিল মিয়া (১০), ঈশান মিয়া (১৪), সুইটি আক্তার (১৬), জান্নাত আক্তার (৫), হোসাইন মিয়া (৮), রাইয়ান মিয়া (১০) ও রাতুল মিয়া (১৬)। বাকিদের নাম জানা যায়নি। কুকুরের কামড়ে আহতদেরকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা, মধ্যেরচর, রসুলপুরসহ পৌরসভার চণ্ডিবেড়, দড়িচণ্ডিবেড়, আমলাপাড়া ও ভৈরবপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে পাগলা কুকুর কামড়েছে।
শিমুলকান্দির ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামের আকলিমা আক্তার জানান, সোমবার তার ছেলে আরিয়ান মাঠে খেলা করে বাড়ি ফিরছিল। এমন সময় কুকুর কামড়েছে। চিৎকার শুনে তিনি ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছেন। পৌর শহরের আমলা পাড়ার রাহিমা খাতুন জানান, তার ছেলে হোসাইন বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় যেতেই কুকুরে কামড়েছে। কান্না শুনে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছেন। এর পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ স ব স থ য কমপ ল ক স উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে শূন্য পদে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নির্বিঘ্ন করতে শূন্য পদগুলোতে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘মিডডে মিল’ চালু করা হয়েছে। যা অনেক শিশুকে উৎসাহিত করবে স্কুলে অবস্থান করতে এবং পড়াশোনা চালাতে। এছাড়াও যেসব শিশুর অর্থনৈতিক কারণে ঝরে পড়ছে তাদের জন্য আলাদা ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘স্কিলফো’ নামে একটি প্রকল্প চলছে। যেখানে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি তাদের জীবনমুখী বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যেন তারা কর্মক্ষম এবং উপার্জনক্ষম হয়ে ওঠে।’
রোববার সকালে কক্সবাজারে ‘মাঠ প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা।
সভায় তিনটি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন শিক্ষাখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। চ্যালেঞ্জগুলো হলো- কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে; জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রমে জটিলতা থাকায় শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে; শিশুশ্রমের সুযোগ বেশি থাকায় কিছু শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়মুখী করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো. সামশুজ্জামান ও উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ।