Risingbd:
2025-04-14@00:25:25 GMT

বন্দিদশা থেকে মুক্ত ১৯ প্রাণী

Published: 4th, February 2025 GMT

বন্দিদশা থেকে মুক্ত ১৯ প্রাণী

২০০২ সালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মানিক লাল দেওয়ানের একান্ত আগ্রহে শহরের সুখী নীলগঞ্জ নামক স্থানে প্রায় ৩০ একর জায়গার ওপর বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয়। শুরুতেই একটি বাচ্চা ভাল্লুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী এনে মিনি চিড়িয়াখানাটি এই অঞ্চলে তাক লাগিয়ে দেয়। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই ধীরে ধীরে চিড়িয়াখানাটি জৌলুস হারাতে থাকে। অযত্ন, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে একের পর এক প্রাণীর মৃত্যু হতে থাকে। 

চিড়িয়াখানা যাত্রার প্রাক্কালে বাচ্চা একটি ভালুক আনা হয়। যেটি গত ২৩ বছর ধরে এই চিড়িয়াখানায় নিঃসঙ্গ পড়ে আছে। ভেঙে পড়েছে একের পর এক খাঁচার ছাদ। দীর্ঘসময় ধরে জরাজীর্ণ ও অবহেলায় পড়ে থাকার পর অবশেষে চিড়িয়াখানাটির অস্তিত্ব গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। জেলা পরিষদ বর্তমানে রয়ে যাওয়া ছয় প্রজাতির ১৯টি প্রাণীকে বন বিভাগকে হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রাণীগুলোকে বন্দিদশা মুক্ত করেছে। 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তারা সুখী নীলগঞ্জের মিনি চিড়িয়াখানায় এসে স্থানীয় বনবিভাগের সহায়তায় ১৯টি প্রাণী চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে যায়। ভাল্লুক, হরিণ ও বানরগুলো চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অচেতন করে তারপর খাঁচায় ভরে চট্টগ্রামের ডুলাহাজরার সাফারি পার্কের উদ্দেশে নিয়ে যায়। 

এ সময় কর্মকর্তারা জানান, প্রথমেই ডুলাহাজরার সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণীগুলোকে চিকিৎসা দেয়ার পর ধীরে ধীরে তাদেরকে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে। 

ঢাকা বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, “২০১২ সালের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী কোনো বন্যপ্রাণী ক্রয়, বিক্রয়, বন্দি রাখা পুরোপুরি আইন পরিপন্থী। যেহেতু এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে, তাই আমরা আলোচনার মাধ্যমে বন্যপ্রাণীগুলোকে জব্দ করে ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে নিয়ে কোয়ারেন্টিনে রাখবো।”

 

তিনি আরো বলেন, “এখানে এসে যা দেখলাম, এতে বন্যপ্রাণী কল্যাণ আইন অনুযায়ী এটা নিষ্ঠুরতা। বন্যপ্রাণী মুভমেন্টের পর্যাপ্ত জায়গা নেই। খাঁচাগুলোতে যথেষ্ট আলো-বাতাস নেই। এভাবে বন্যপ্রাণী থাকতে পারে না।” 

চট্টগ্রাম বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, “জেলা পরিষদ প্রধান বন সংরক্ষকের মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়ে এখানে কিছু বন্যপ্রাণী এনেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা জানতে পারলাম, এখানে যেভাবে বন্যপ্রাণী রাখা হয়েছে, সেগুলো বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন পরিপন্থী। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সাথে যোগাযোগের পর তারা বন্যপ্রাণীগুলো হস্তান্তরে সম্মত হওয়ায় আমরা এগুলো নিয়ে যাচ্ছি।” 

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে ও অবহেলায় পড়েছিল বন্যপ্রাণীগুলো। সোমবার সকালে চিড়িয়াখানায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাঁচায় বসে আছে নিঃসঙ্গ ভালুক। একা একা পায়চারি করছেন দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘরে। গত ২৩ বছর ধরে এই ঘরটিই ছিল তার একমাত্র আবাসস্থল। সাধারণত ভালুকের জীবনকাল ৩০ বছর হয়ে থাকে, আর এরমধ্যে খাঁচায় এই প্রাণীটির কেটেছে ২৩ বছর। পাশের একটি খাঁচায় শ্রীহীন চারটি বানর। স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্য নেই কারো। যা খাবার পায়, তাতে বন্দি প্রাণীগুলোর কোনোমতে টিকে থাকাই দায়।

 

প্রাণীদের দেওয়া খাবার এতটাই অল্প যে খাঁচায় উঁকি দিয়ে কোথাও উচ্ছিষ্ট কিছু দেখা গেল না। একটি কক্ষে হাঁটু পরিমাণ পানিতে ছয়টি কচ্ছপ। পানিগুলো এতটাই নোংরা যে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। কবে যে এই পানি পরিবর্তন করা হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। চিড়িয়াখানার সবগুলো প্রাণীর ঘর নোংরায় ভরা। একমাত্র হরিণটি এদিক-ওদিক খুড়িয়ে খুড়িয়ে দৌড়ঝাঁপ করছে। এক সময় তিনটি হরিণ থাকলেও এখন একটি মাত্র হরিণ। 

ভেঙে গেছে প্রাণীদের খাঁচাগুলো। স্থানে স্থানে পাকা স্থাপনায় ফাটল ধরেছে। খাঁচার গ্রিলে ধরেছে মরিচা। প্রাণী না থাকায় লোকজনের কোনো আগ্রহ নেই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে। এর মধ্যে গত জুলাইয়ে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের জন্য পানি তোলার পাম্পটিও চুরি হয়ে গেছে। পাহাড়ের ওপর অবস্থিত চিড়িয়াখানাটির প্রাণীদের জন্য এখন টেনে টেনে পানি আনতে হয়। কিন্তু পানি আনার লোকও নেই। ফলে পর্যাপ্ত পানি প্রতিদিন সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। 

বর্তমানে এখানকার সম্বল একটি মাত্র ভালুক, একটি হরিণ, চারটি বানর, দুটি সজারু, পাঁচটি বন মোরগ ও ছয়টি কচ্ছপ। অজগরও ছিল একসময়, সেটির মৃত্যুর পর সেই নোংরা ঘরে স্থান হয়েছে দুইটি বানরের। খেয়ে না খেয়ে প্রাণীগুলো দিন কাটাচ্ছে অনেকটাই নিঃসঙ্গতায়। 

কক্সবাজার সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার ডা.

হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকার নাইন বন্যপ্রাণীগুলোর শারীরিক অবস্থা সম্বন্ধে বলেন, “ভালুকের অবস্থা ভালো আছে। বানর ও হরিণের স্কিনে সমস্যা আছে। অন্যান্য প্রাণীগুলোও মোটামুটি আছে। আমরা কিছু প্রাণী ট্রাঙ্কুলাইস করেছি এবং বাকীগুলো ফিজিক্যালি রেসকিউ করে ডুলাহাজরায় নিয়ে যাবো। সেখানে তাদেরকে চিকিৎসার পর অবমুক্ত করা হবে।”

চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মো. সালাম বলেন, “জেলার একমাত্র এই মিনি চিড়িয়াখানাটার এই অবস্থার জন্য অবশ্যই কর্তৃপক্ষ দায়ী। তাদের অবহেলা ও অব্যবস্থানার কারণে প্রাণীগুলো মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। একটি ভালুক ২৩ বছর ধরে নিঃসঙ্গ একটি খাঁচায় পড়ে আছে। এগুলো অমানবিক। অন্তত বনবিভাগের কাছে বন্যপ্রাণীগুলো হস্তান্তরের কারণে প্রাণীগুলো বেঁচে যাবে।” 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, “চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা খুব একটা নেই। এতে এখান থেকে কোনো আয়ও নেই। বন্যপ্রাণীগুলো হস্তান্তরে গত মাসে আমরা ঢাকা বন অধিদপ্তরকে চিঠি দিই। তারা জানিয়েছিল, বন্যপ্রাণীগুলো তারা নিয়ে যাবে। বর্তমানে খালি এই স্থানটিকে আমরা পর্যটন স্পট করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।”

ঢাকা/শংকর/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২৩ বছর অবহ ল অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন চেতনায় বর্ষবরণের আয়োজন

‘তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥ ... এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।’ কালের গর্ভে হারাল পুরোনো বছরের সব পঙ্কিলতা, সব পাপ-তাপ ধুয়ে-মুছে নতুন দিনের উজ্জ্বল আভায় হাসবে স্বদেশভূমি, বর্ণিল সুখচ্ছটায় ভাসবে মানবজীবন– এই প্রত্যাশা নিয়েই শুরু বঙ্গাব্দ ১৪৩২। স্বাগত বাংলা নববর্ষ। 

আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা সংস্কৃতির সবচেয়ে প্রাণবন্ত, হৃদয়ছোঁয়া ও সর্বজনীন উৎসব। বছরের প্রথম সূর্যের আলোয় বাঙালির হৃদয়ে জেগে ওঠে আশার গান। এই দিনে পুরোনো গ্লানি ঝেড়ে শুরু হয় নতুন পথচলা। বাংলা নববর্ষ শুধু একটি দিন নয়; এটি বাঙালির জীবনে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ঐক্য ও প্রাণের মিলনমেলা।

এবারের পহেলা বৈশাখের আবহ অন্যবারের চেয়ে একটু আলাদা। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এটাই প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন। নতুন চেতনায় বর্ষবরণ আয়োজনের প্রচেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি বদলে নতুন নাম হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।   

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি দেশ ও বিশ্বের সব মানুষের উত্তরোত্তর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

এদিকে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলের বিষয়টি নিয়ে এখনও বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।   ইউনেস্কোর অপরিমেয় বিশ্ব সংস্কৃতি হিসেবে স্বীকৃতির সনদে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা অন পহেলা বৈশাখ’ নামেই বাংলা বর্ষবরণের আয়োজনটিকে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন নাম বদলের ফলে জাতিসংঘের সংস্থার স্বীকৃতিতে প্রভাব পড়বে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৬ সালে বাংলা বছরকে বরণ করে নেওয়ার এই উৎসবটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পায়। এ ছাড়া আনন্দ শোভাযাত্রায় প্রদর্শনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নির্মীয়মাণ ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায়ও বিতর্ক চলছে। 

এমন আলোচনা-সমালোচনা আর বিতর্কের মধ্যেই গোটা জাতি আজ প্রাণের উচ্ছ্বাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মাতবে। বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছর উদযাপনের অনুষ্ঠানমালা থাকবে দেশজুড়ে। ঢাকায় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ছাড়াও সারাদেশে থাকবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন। গ্রাম-শহরে বৈশাখী মেলা, যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, নাগরদোলা ছাড়াও থাকবে ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা-ইলিশ। সেই সঙ্গে থাকবে হালখাতার ঐতিহ্য। ব্যবসায়ীরা লাল খাতা ও নতুন ক্যালেন্ডার বিতরণ করবেন, সঙ্গে থাকবে মিষ্টান্ন বিতরণ।     

মোগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ সালে তাঁর শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলা সাল প্রবর্তন করেন। সেই সময় রাজস্ব আদায় হতো হিজরি চন্দ্রপঞ্জিকা অনুযায়ী, যা ছিল পুরোপুরি চন্দ্রনির্ভর। কিন্তু কৃষিভিত্তিক সমাজে এটি ছিল অনুপযোগী। কারণ, কৃষির মৌসুম অনুযায়ী রাজস্ব নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ইত্যাদি কৃষি মৌসুম ও আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মিশ্র সৌর ও চন্দ্র পদ্ধতির ভিত্তিতে তৈরি হয় ‘তারিখ-ই-ইলাহি’, যা-ই পরে পরিচিতি পায় বাংলা সাল নামে। এই পঞ্জিকা প্রস্তুত করেন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজী।
যদিও শুরুতে নববর্ষ ছিল প্রশাসনিক কর আদায়ের দিন, ধীরে ধীরে এটি রূপ নেয় একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে। গ্রামবাংলার মানুষ একে একত্রে পালন করতে শুরু করে। রাজস্ব পরিশোধের পর আয়োজিত হতো ‘হালখাতা’, যেখানে ব্যবসায়ীরা পুরোনো হিসাব শেষ করে মিষ্টিমুখ করতেন নতুন খাতা খুলে।

আদিবাসীরা নববর্ষ ঘিরে নিজেদের মতো করে স্বাজাত্যবোধ বজায় রেখে উৎসবের রং ছড়ান। পাবর্ত্য তিন জেলায় আদিবাসীরা উদযাপন করে ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈসাবি। এর নামকরণ হয়েছে বৈসুক, সাংগ্রাই ও বিজু এই শব্দগুলোর আদ্যক্ষর থেকে। এ উৎসবকে চাকমারা বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসুক বলে অভিহিত করেন। 

দিনভর নানা আয়োজন
উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে আজকের দিনের মূল আকর্ষণ থাকবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই শোভাযাত্রা আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হবে। পরে এটি শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে ফের চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।

রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে সকাল সোয়া ৬টা থেকে সোয়া ৮টা পর্যন্ত থাকবে বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য আয়োজন। সকাল থেকে ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে থাকবে সুরের ধারার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানমালা। শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিকেল ৩টায় কনসার্ট এবং সন্ধ্যা ৭টায় চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হবে। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী রাজধানীর তোপখানা রোডের সত্যেন সেন চত্বরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দিনভর লোকসংস্কৃতি উৎসব ও বৈশাখী আড্ডার আয়োজন করেছে। সেখানে থাকবে চারুকারুপণ্যসহ বৈশাখী মেলার আয়োজন। নবপ্রাণ আন্দোলনের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী ‘বৈশাখী উদযাপন আয়োজন’ থাকবে। 

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে আজ ও আগামীকাল দু’দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান-পূজা-পার্বণ, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রথম দিনে আজ সোমবার সকাল ৮টায় সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। 
এ ছাড়া বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ (ডিআরইউ) বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করবে।  

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ