আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ৪০ বছরে পা রাখবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে তার আগে ৩৯তম বছরের শেষ ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখলেন জোড়া গোল দিয়ে। সোমবার এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে আল ওয়াসালের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে আল নাসরকে ৪-০ গোলে জয় এনে দেন পর্তুগিজ তারকা।  

ম্যাচের ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করেন রোনালদো। এরপর ৭৮ মিনিটে দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান তিনি। গোলের পর অভিনব ভঙ্গিতে হাত উপরে তুলে বিশেষ উদযাপনও করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা। রোনালদোর ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত গোলসংখ্যা ৯২৩টি। বয়স ৩০ পার হওয়ার আগে তার গোল সংখ্যা ছিল ৪৬৩টি, আর ৩০ বছরের পর থেকে এখন পর্যন্ত করেছেন ৪৬০ গোল। বয়স বাড়লেও গোল করার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তিনি।

সম্প্রতি স্প্যানিশ সাংবাদিক এদু আদুইরিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেকেই ‘সবচেয়ে পরিপূর্ণ’ ফুটবলার দাবি করেন রোনালদো। তার ভাষায়, ‘আমি মনে করি, এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকা সবচেয়ে সম্পূর্ণ খেলোয়াড় আমি। আমার ভালো হেড করার দক্ষতা আছে, ফ্রি-কিক নিই দারুণভাবে, দুই পায়েই সমানভাবে শট নিতে পারি। কেউ যদি বলে ক্রিশ্চিয়ানো সম্পূর্ণ নয়, সেটা হবে মিথ্যা। আমিই সেরা।’

পেলে, ম্যারাডোনা ও মেসির প্রসঙ্গ টেনে রোনালদো আরও বলেন, ‘মানুষের পছন্দ ভিন্ন হতে পারে। কেউ পেলে, ম্যারাডোনা কিংবা মেসিকে এগিয়ে রাখবেন, সেটা আমি সম্মান করি। তবে পরিসংখ্যানই আমার হয়ে কথা বলে। ইতিহাসে আর কোনো ফুটবলার আছে কি, যে হেড, বাঁ পা, পেনাল্টি কিংবা ফ্রি-কিক মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে? আমি শীর্ষ ১০ ফুটবলারের মধ্যে আছি, যারা বাঁ পা ও হেড—দুই জায়গাতেই সবচেয়ে বেশি গোল করেছে।’

এ ছাড়া, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বার্সেলোনার কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন রোনালদো। তবে শেষ পর্যন্ত স্পোর্টিং লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই যোগ দেন তিনি।  

বিশ্বকাপ খেলার ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে রোনালদো বলেন, ‘বিশ্বকাপ এখনও দেড় বছর বাকি। আমি খেলতে পারলে ভালো, না পারলেও এটা নিয়ে বড় কোনো আফসোস থাকবে না।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ল কর সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট

সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।

রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক। 

জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন। 

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ