বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ রোববার। প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো মারাত্মক ও প্রাণঘাতী এ কর্কট রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া এবং এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা।
দিবসটি পালন শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে। ফ্রান্সের প্যারিসে ‘ওয়ার্ল্ড সামিট এগেইনস্ট ক্যানসার’-এর মঞ্চ থেকে এ প্রচেষ্টা শুরু হয়। এবারের ক্যান্সার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ক্লোজ দ্য কেয়ার গ্যাপ’। ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪- এই তিন বছরের জন্য ক্যান্সার সচেতনতা প্রসারে এই ভাবনাকেই বেছে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
দিবসটি ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যানসার কন্ট্রোল নামক একটি বেসরকারি সংস্থার নেতৃত্বে উদযাপন করা হয়। এটি পূর্বে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন নামে পরিচিত ছিল। এ সংস্থার সদর দফতর জেনেভায় অবস্থিত, যার ১৭০টিরও বেশি দেশে প্রায় দু’হাজার সদস্য রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮ সালে ৯.
চিকিৎসকরা মনে করেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা করা সহজ হয়। ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নির্ভর করে ক্যান্সার কোথায়, এটি কতটা বড় এবং এটির কাছাকাছি কোন অঙ্গ বা টিস্যুকে কতটা প্রভাবিত করে, তার উপর।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশে ক্যান্সারের বোঝা : জনসংখ্যা ভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কিত একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি এক লাখে ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৬ জন। এছাড়াও প্রতি বছর এ রোগে নতুন করে ৫৩ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই ক্যান্সারের রোগী।
দেশে জনসংখ্যা ভিত্তিক ক্যান্সারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বৃহত্তর গবেষণার ফলাফল প্রকাশকালে প্রধান গবেষক ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খালেকুজ্জামান জানান, ‘বাংলাদেশে ৩৮ ধরণের ক্যান্সারের রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যাই বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ রোগীর বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছর। ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ২ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু এবং ৫ দশমিক ১ শতাংশ রোগীর বয়স ৭৫ বছরের বেশি।’
ঢাকা/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ রোববার। প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো মারাত্মক ও প্রাণঘাতী এ কর্কট রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া এবং এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা।
দিবসটি পালন শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে। ফ্রান্সের প্যারিসে ‘ওয়ার্ল্ড সামিট এগেইনস্ট ক্যানসার’-এর মঞ্চ থেকে এ প্রচেষ্টা শুরু হয়। এবারের ক্যান্সার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ক্লোজ দ্য কেয়ার গ্যাপ’। ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪- এই তিন বছরের জন্য ক্যান্সার সচেতনতা প্রসারে এই ভাবনাকেই বেছে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
দিবসটি ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যানসার কন্ট্রোল নামক একটি বেসরকারি সংস্থার নেতৃত্বে উদযাপন করা হয়। এটি পূর্বে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন নামে পরিচিত ছিল। এ সংস্থার সদর দফতর জেনেভায় অবস্থিত, যার ১৭০টিরও বেশি দেশে প্রায় দু’হাজার সদস্য রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮ সালে ৯.৬ মিলিয়ন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। তাই ক্যান্সার সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য বিশ্ব জুড়ে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালন করা হয়।
চিকিৎসকরা মনে করেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা করা সহজ হয়। ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নির্ভর করে ক্যান্সার কোথায়, এটি কতটা বড় এবং এটির কাছাকাছি কোন অঙ্গ বা টিস্যুকে কতটা প্রভাবিত করে, তার উপর।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশে ক্যান্সারের বোঝা : জনসংখ্যা ভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কিত একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি এক লাখে ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৬ জন। এছাড়াও প্রতি বছর এ রোগে নতুন করে ৫৩ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই ক্যান্সারের রোগী।
দেশে জনসংখ্যা ভিত্তিক ক্যান্সারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বৃহত্তর গবেষণার ফলাফল প্রকাশকালে প্রধান গবেষক ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খালেকুজ্জামান জানান, ‘বাংলাদেশে ৩৮ ধরণের ক্যান্সারের রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যাই বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ রোগীর বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছর। ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ২ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু এবং ৫ দশমিক ১ শতাংশ রোগীর বয়স ৭৫ বছরের বেশি।’
ঢাকা/টিপু