বগুড়ার সদরে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকচাপায় রেহানা বেগম (৩০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় তার স্বামী মোটরসাইকেল চালক সবুজ সরকার গুরুতর আহত হন।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদরের নওদাপাড়া এলাকার টিএমএসএস ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত রেহেনা বেগম দশটিকা দক্ষিণপাড়া এলাকার সবুজ সরকারের স্ত্রী। তার স্বামী সবুজ টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

স্থানীয়রা জানান, সবুজ তার স্ত্রী রেহেনাসহ মহাস্থান এলাকার এক আত্মীয়ের লাশ দাফনের উদ্দেশ্যে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে টিএমএসএস ফিলিং স্টেশনের সামনে ট্রাকের নিচে পিষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলে রেহানা মারা যান। পরে স্থানীয়রা সবুজ মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।

বগুড়া ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাড়ি ফেরার পথে সবুজ সরকার টিএমএসএস পাম্প থেকে মোটরসাইকেলের তেল নেওয়ার পর রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি ট্রাক ওই মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রেহেনা বেগম মারা যান। গুরুতর আহত হন সবুজ সরকার। এ ঘটনায় ট্রাকচালককে আটক ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

ঢাকা/এনাম/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সব জ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকাতির চেষ্টাকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা আটক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাতির চেষ্টার সময় মাকসুদ মজুমদার (৩৯) ও মনির হোসেন (৩৭) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার গভীর রাতে উপজেলার নবীগঞ্জ ইউনিয়নের নবীগঞ্জ গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটক মাকসুদ মজুমদার (৩৯) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও সরকারি মোজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সাবেক এজিএস। অপর আটক মনির হোসেন (৩৭) নীলগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মাকসুদ ওই ইউনিয়নের নীলগঞ্জ ও মনির হোসেন সুলতানগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত একটার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাতদল নবীগঞ্জ গ্রামের সরকার বাড়িতে প্রবেশ করে। ওই বাড়িতে ৭ থেকে ৮টি বসতঘর রয়েছে। মাকসুদ ও মনির নীল কান্তি সরকারের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। বিষয়টি টের পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে কলাপাড়া থানার ওসি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই ঘর থেকে মাকসুদ ও মনিরকে আটক করে। এ সময় পুলিশের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতদলের অপর সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।   

সরকার বাড়ির বাসিন্দা মিনতী রানী সরকারের ভাষ্য, ঘটনার রাতে ডাকাতদের মারধরে তাদের বাড়ির পলাশ ও দুলাল সরকার আহত হয়। ডাকাতরা ঘরের আলমিরা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও ৫৭ হাজার নগদ টাকা লুটে করে নেয়। 

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ঢালী রুহুল আমিন অভি সমকালকে বলেন, এ ধরনের দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে তাদের পক্ষ থেকে আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, আটক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি জানান, বিভিন্ন চুরি ডাকাতির ঘটনায় আগে থেকেই পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন মাকসুদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ