টি-বয় থেকে ২৮০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতা যশ
Published: 4th, February 2025 GMT
‘রকিং স্টার’ হিসেবে পরিচিত কন্নড় সিনেমার নায়ক যশ। ‘কেজিএফ’ সিনেমায় অভিনয় করে আকাশচুম্বী খ্যাতি কুড়ান। যশ-খ্যাতির পাশাপাশি অঢেল সম্পদেরও মালিক হয়েছেন। কিন্তু টি-বয় থেকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানোর জার্নিটা মোটেও মসৃণ ছিল এই অভিনেতার।
অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন ছোটবেলায় দেখেন যশ। সেই স্বপ্নপূরণের জন্য মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেঙ্গালুরুতে পাড়ি জমান। বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার আগেই কন্নড় সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত করেছিলেন যশ। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর মাত্র দুই দিন পর প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়। ফলে দারুণ বিপাকে পড়েন এই অভিনেতা।
স্মৃতিচারণ করে যশ বলেন, “আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে বেঙ্গালুরুতে যাই। বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর পরই ভয় পেয়ে যাই। এত বড় শহর, কী ভীতিকর! কিন্তু আমি সবসময়ই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি সংগ্রাম করতে ভয় পাই না। আমি যখন বেঙ্গালুরুতে পৌঁছাই তখন আমার পকেটে মাত্র ৩০০ রুপি ছিল। আমি জানতাম, এ পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরে গেলে বাবা-মা আমাকে আর ফিরতে দেবেন না।”
আরো পড়ুন:
আমার স্ত্রী কখনো জানতে চায়নি কত টাকা আয় করি: যশ
বড় পরিসরে আসছে ‘কেজিএফ থ্রি’
অনিশ্চিত জীবন জেনেও ৩০০ রুপি পকেটে নিয়ে ‘বেনাকা’ নামে একটি নাটকের দলে যোগ দেন যশ। সেখানে ব্যাকস্টেজে কাজ শুরু করেন। মূলত, টি-বয়ের কাজ করতে থাকেন এই অভিনেতা। বিনিময়ে প্রতিদিন ৫০ রুপি পারিশ্রমিক পেতেন। থিয়েটারের কাজের পাশাপাশি কলেজেও ভর্তি হন যশ। সেই সময়ে ‘নন্দগোকুলা’ শিরোনামে একটি টিভি সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ পান। এ নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে অভিনেত্রী রাধিকা পণ্ডিতের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাকেই বিয়ে করেন যশ।
২০০৭ সালে ‘জামখাদা হুড়গি’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন যশ। ২০০৮ সালে ‘রকি’ সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০১০ সালে রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার ‘মোড়লাসালা’ সিনেমায় অভিনয় করে নায়ক হিসেবে সাফল্য লাভ করেন এই অভিনেতা। পরের বছরই ‘কিরাটাকা’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এটিও ব্যবসায়ীকভাবে সাফল্য পায়। পরের কয়েক বছর ‘মোগিনা মানাসু’, ‘ড্রামা’, ‘গুগলি’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস রামচারি’, ‘মাস্টারপিস’-এর মতো হিট সিনেমা উপহার দেন যশ।
২০১৮ সালে মুক্তি পায় যশ অভিনীত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার-১’। ২৫০ কোটি রুপি আয় করে অনেক রেকর্ড ভেঙে দেয় এই সিনেমা। কন্নড় ভাষার সিনেমার মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি আয় করেছিল। দীর্ঘ চার বছর এই রেকর্ড নিজের দখলে রাখেন যশ। ২০২২ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটির সিক্যুয়েল। মুক্তির পর বক্স অফিসে সিনেমাটি আয় করে ১২৫০ কোটি রুপি। এর মধ্য দিয়ে ভারতে সবচেয়ে বেশি আয় করা অন্যতম সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নেয় এটি।
‘কেজিএফ’ সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেন যশ। আর এই খ্যাতি তাকে কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। নীতেশ তিওয়ারি পরিচালিত ‘রামায়ণ’ সিনেমায় ‘রাবণ’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। রণবীর কাপুর, সাই পল্লবী অভিনীত এই সিনেমাকে ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা বলা হচ্ছে! সিনেমাটির সহপ্রযোজক হিসেবেও রয়েছেন যশ। এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ২০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বেশি) পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন ৫০ রুপি পারিশ্রমিকে কাজ করা যশের জন্য এটি অনেক বড় প্রাপ্তি।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টিভি
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ এফ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ফেব্রুয়ারিতেই রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তফসিল ঘোষণা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তফসিল চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ঘোষণা করা হবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাকসু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, “এ পদে আসার পরই একটি ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, আমরা রাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। সে লক্ষ্যেই বেশ কিছু প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা রাখছি, এই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ, তফসিলসহ একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারব।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই উপাচার্য ৬ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে রাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এরপর আর তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলন করে রাকসু আন্দোলন মঞ্চ।
সেখানে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান আমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গত ৫ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিভিন্ন সময়ে ৫-৬ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তার ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাকসুর তফসিল ঘোষণার জন্য আমরা রাকসু আন্দোলন মঞ্চ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী