বিভিন্ন উপাসনালয়, প্রতিষ্ঠান ও মাজারে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ভারত সুযোগ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা। সোমবার যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, জাতির এই ক্রান্তিকালে বিশেষত রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের কঠিন সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার মাজারে হামলার ঘটনার সুযোগ নিচ্ছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও ভারত। এসব হামলার কারণে তারা দেশের আলেম-ওলামা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, মাজারকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো শরিয়তবিরোধী অপকর্ম বা সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড চললে, সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহায়তায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের পথ বেছে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে হামলা করা, সহিংসতা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি কোনোভাবেই হামলাকারী নাগরিকদের দায়িত্বশীল মানসিকতার পরিচয় দেয় না। আমরা এ ধরনের হামলা সমর্থন করি না। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা রোধে সরকারকে সহযোগিতা করতে আলেম-ওলামা প্রস্তুত আছেন।

হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি নাগরিকদের সহযোগিতামূলক আচরণ ও ভূমিকা পালনের পরিবর্তে বিভিন্ন পক্ষ বিভেদ-বিভক্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। এই সুযোগে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী অপশক্তি ও আধিপত্যবাদী ভারত আবারও মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের ঠেকিয়ে জুলাই বিপ্লবকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন হল থেকে মরদেহ উদ্ধার

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নির্মাণাধীন হল ভবনের ১০ম তলার একটি কক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পাবনা সদর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সেটি এখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) থেকে ভবনে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। বুধবার সকালে হ্যামার টেস্টসহ অন্যান্য পরীক্ষা চালাতে গেলে ভবন পরীক্ষক দলের সদস্যরা তীব্র দুর্গন্ধ অনুভব করে এবং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান।

খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পাবনা সদর থানা ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে অবহিত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় থানা পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, ডিএসবি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মরদেহটি ভবনের ১০ম তলার একটি রুমের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গলায় ফাঁসের দড়ি ছিল। তবে দড়িটি ছেঁড়া দেখা গেছে।

পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর পর দেহে ওজন বেড়ে যাওয়ায় দড়ি ছিঁড়ে লাশটি মেঝেতে পড়ে যেতে পারে। মৃতদেহটি পচে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলী খাঁন বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে করছি, কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে, সম্ভবত ঈদের আগেই। গলায় দড়ি থাকায় আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্মার্টফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি তদন্তে কাজে আসবে বলে আশা করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “ভবন পরীক্ষকরা দুর্গন্ধ পেয়ে বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অবহিত করি। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ