মাজারে হামলার ঘটনায় সুযোগ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও ভারত: হেফাজতে ইসলাম
Published: 3rd, February 2025 GMT
বিভিন্ন উপাসনালয়, প্রতিষ্ঠান ও মাজারে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ভারত সুযোগ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা। সোমবার যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান এ মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, জাতির এই ক্রান্তিকালে বিশেষত রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের কঠিন সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার মাজারে হামলার ঘটনার সুযোগ নিচ্ছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও ভারত। এসব হামলার কারণে তারা দেশের আলেম-ওলামা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, মাজারকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো শরিয়তবিরোধী অপকর্ম বা সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড চললে, সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহায়তায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের পথ বেছে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে হামলা করা, সহিংসতা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি কোনোভাবেই হামলাকারী নাগরিকদের দায়িত্বশীল মানসিকতার পরিচয় দেয় না। আমরা এ ধরনের হামলা সমর্থন করি না। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা রোধে সরকারকে সহযোগিতা করতে আলেম-ওলামা প্রস্তুত আছেন।
হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি নাগরিকদের সহযোগিতামূলক আচরণ ও ভূমিকা পালনের পরিবর্তে বিভিন্ন পক্ষ বিভেদ-বিভক্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। এই সুযোগে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী অপশক্তি ও আধিপত্যবাদী ভারত আবারও মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের ঠেকিয়ে জুলাই বিপ্লবকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকাতির চেষ্টাকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা আটক
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাতির চেষ্টার সময় মাকসুদ মজুমদার (৩৯) ও মনির হোসেন (৩৭) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার গভীর রাতে উপজেলার নবীগঞ্জ ইউনিয়নের নবীগঞ্জ গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক মাকসুদ মজুমদার (৩৯) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও সরকারি মোজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সাবেক এজিএস। অপর আটক মনির হোসেন (৩৭) নীলগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মাকসুদ ওই ইউনিয়নের নীলগঞ্জ ও মনির হোসেন সুলতানগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত একটার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাতদল নবীগঞ্জ গ্রামের সরকার বাড়িতে প্রবেশ করে। ওই বাড়িতে ৭ থেকে ৮টি বসতঘর রয়েছে। মাকসুদ ও মনির নীল কান্তি সরকারের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। বিষয়টি টের পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে কলাপাড়া থানার ওসি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই ঘর থেকে মাকসুদ ও মনিরকে আটক করে। এ সময় পুলিশের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতদলের অপর সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সরকার বাড়ির বাসিন্দা মিনতী রানী সরকারের ভাষ্য, ঘটনার রাতে ডাকাতদের মারধরে তাদের বাড়ির পলাশ ও দুলাল সরকার আহত হয়। ডাকাতরা ঘরের আলমিরা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও ৫৭ হাজার নগদ টাকা লুটে করে নেয়।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ঢালী রুহুল আমিন অভি সমকালকে বলেন, এ ধরনের দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে তাদের পক্ষ থেকে আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, আটক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি জানান, বিভিন্ন চুরি ডাকাতির ঘটনায় আগে থেকেই পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন মাকসুদ।