আ. লীগের প্রচারপত্র বিতরণ: শেকৃবিতে ডেপুটি রেজিস্ট্রারের বাসা থেকে কর্মকর্তা আটক
Published: 3rd, February 2025 GMT
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের প্রচারপত্র বিতরণের অভিযোগে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়াকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমানের বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমানসহ আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবিতে ক্যাম্পাসে পৃথক মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মিছিল শেষে শেকৃবি ছাত্রদল সভাপতি তাপস কবির বলেন, ক্যাম্পাসে অবস্থান করা আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তারা এখনও বুক ফুলিয়ে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে আসা অন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে শেকৃবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা। আমরা দ্রুত এসব শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচার ও প্রত্যাহার চাই।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিছিলের পর প্রশাসনের কাছে তিনটি দাবি পেশ করে। দাবিগুলো হলো– আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা বাতিল ও প্রত্যাহার, জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারকাণ্ডে তিন দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ।
মিছিল শেষে শেকৃবি সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কৃষি ও পরিবেশ সেলের সম্পাদক তৌহিদ আহমেদ আশিক বলেন, তদন্তের নামে বর্তমান প্রশাসন প্রহসন করছে। ছয়-সাত মাস পার হলেও ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও সমর্থনকারীদের এখনও বিচার শেষ করতে পারেনি তারা। ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পদচারণায় আমরা নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছি। প্রশাসনকে আগামী তিন দিনের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিচার ও প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগপন্থি সবার বাসার বরাদ্দ বাতিল করতে হবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা দ্রুত সময়ে বিচারকাজ শেষ করব। আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত, সিন্ডিকেট মিটিংয়ের অপেক্ষায় আছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আটক আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
জীবন বাঁচাবে মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের এই পরীক্ষা
বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের চেকলিস্টে যে পরীক্ষা রাখা উচিত
বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সহজ একটি কাজ করতে পারেন। ঘরে বসানো গ্রাউন্ড ফল্ট সার্কিট ইন্টারাপ্টার (জিএফসিআই) নামক যন্ত্রটি কাজ করছে কি না, মাঝেমধ্যে তা পরীক্ষা করে দেখুন। যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপ বলছে, দেশটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার মৃত্যু এবং কমপক্ষে ৩০ হাজার আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২০ শতাংশই শিশু। জিএফসিআই পরীক্ষাটি সহজ, সস্তা এবং দ্রুত করা যায়। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখার দায়িত্ব পালন করতে পারেন সহজেই।
জিএফসিআই কী
জিএফসিআই হলো একটি সার্কিট ব্রেকার। এই সেফটি যন্ত্রটি মানুষকে বিদ্যুতায়িত হওয়া থেকে রক্ষা করে। বুঝিয়ে বলি। আপনি তার বা সকেটের দ্বারা বিদ্যুতায়িত হলে আপনার শরীরকে পরিবাহী বানিয়ে বিদ্যুৎ মাটিতে যায়। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ ধরনের যন্ত্র এই প্রক্রিয়া ঘটার আগেই বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয়। অন্যভাবে বললে, বাসার কোনো সকেটে যা-ই প্লাগ ইন করা হোক, জিএফসিআই সেটা পর্যবেক্ষণ করে। কোনো অসামঞ্জস্য বা ইলেকট্রিক শকের মতো দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখলেই এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে বাঁচা যায়। এর বাইরেও অন্য সুরক্ষাব্যবস্থা থাকতে পারে। তবে নতুন বাসায় উঠে জিএফসিআই না দেখলে বা সুরক্ষা নিয়ে মনে খটকা থাকলে ইলেকট্রিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া ভালো।
বাসাবাড়ির যেখানে পানি বেশি ব্যবহৃত হয়, সেখানে জিএফসিআই থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বেশি