Samakal:
2025-04-30@14:38:05 GMT

ইতিবাচক ধারাতেই রপ্তানি আয়

Published: 3rd, February 2025 GMT

ইতিবাচক ধারাতেই রপ্তানি আয়

বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৪৪৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের বছরের একই মাসের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাস অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। রপ্তানি হয়েছে মোট ২ হাজার ৮৯৭ কোটি ডলারের পণ্য। 
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল সোমবার  হালনাগাদ  এ তথ্য প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানিতে বেশ গতি রয়েছে। গত সাত মাসে পণ্যটি থেকে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১২ শতাংশ বেশি। শুধু জানুয়ারিতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৬৬ কোটি ডলারের, যা গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। 

তৈরি পোশাকের রপ্তানির ধারা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে মনে করেন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। সমকালকে তিনি বলেন,  যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে  চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর শুল্ক লড়াই বাংলাদেশকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়ানোর আরও সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে। ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংক ঋণে সুদের হার সহনীয় রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা উন্নয়ন। 
রপ্তানি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ খাত হিসেবে উঠে এসেছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৬৭ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। জানুয়ারিতে ৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। 
চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে ৬৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া শুধু জানুয়ারিতে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৯ কোটি ডলারের, যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে পৌনে ৫ শতাংশ কম।
ইপিবির  প্রতিবেদন  বলছে, জানুয়ারি নিয়ে টানা চার মাস ধরে রপ্তানি ৪০০ কোটি ডলারের ওপরে। এর মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বরে যথাক্রমে ৪১৩ ও ৪১১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। আর ডিসেম্বরে ৪১১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। গত অর্থবছরে (২০২৩–২৪) মোট ৩৩৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মানে হলো, এবার প্রথম ৯ মাসেই গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণ পরিশোধ হয়ে গেছে।

আজ বুধবার বিকেলে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই–মার্চ মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। সেখানে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইআরডির তথ্য অনুসারে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই–তৃতীয়াংশের সমান।

অন্যদিকে আলোচ্য ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। আর সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।

এদিকে গত জুলাই–মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।

জুলাই–মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল
  • তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে স্কয়ার ফার্মার
  • ৯ মাসে ১৪ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা
  • শিক্ষার মানোন্নয়নে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ প্রয়োজন
  • ২০২৭ সালের জুনের পর ‘করছাড়’ থাকবে না
  • ৯ মাসে ৪,৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা ওয়ালটনের
  • যমুনা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ