পূজা দেখে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন তিন বন্ধু, পথে প্রাণ গেল সবার
Published: 3rd, February 2025 GMT
ফেনীতে সরস্বতী পূজা দেখে ফেরার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নোয়াখালীর তিন তরুণের। সোমবার রাত ৯টায় দাগনভূঞা উপজেলার বেকের বাজারের উত্তর আলীপুর এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন, চৌমুহনী উপজেলার আলীপুর এলাকার কৃষ্ণ গোস্বামীর ছেলে সৌরভ গোস্বামী (২৩), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণ ঘোষের ছেলে অন্তর ঘোষ (২৩) ও একই এলাকার মনোরঞ্জনের ছেলে দেবু (২২)।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের স্বজনরা জানান, বিকেলে নোয়াখালী থেকে সরস্বতী পূজা দেখতে দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচ বন্ধু ফেনী শহরে যান। পূজা দেখে রাতে নোয়াখালীর বাড়িতে ফেরার পথে ফেনীর দাগনভূঞার বেকের বাজার এলাকায় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারায়। সড়কের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হন। গুরুতর আহত হন অপর আরোহী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন সড়ক ম ত য
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী
কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।
পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”
উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারেকুর/এস