Samakal:
2025-03-09@23:08:24 GMT

পত্রিকা বিক্রেতাদের পাশে

Published: 3rd, February 2025 GMT

পত্রিকা বিক্রেতাদের পাশে

কুড়িগ্রামে সমকাল সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে চলছে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি। এর ধারাবাহিকতায় শীতের উপহার হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে পত্রিকা বিক্রেতাদের মাঝে।
গত ২৩ জানুয়ারি রাতে শহরের উলিপুর ডটকম কার্যালয়ে তৃতীয় দফায় সংগঠক মারুফ আহম্মদের সহযোগিতায় পত্রিকা বিক্রেতাদের এবং ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সদর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চর কুড়িগ্রাম এলাকায় দিনমজুরদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন সুহৃদরা।
এ সময় দেশ টিভির সাংবাদিক জুয়েল রানা, নাগরিক টিভির সাংবাদিক ফজলুল হক ফারাজি, পত্রিকা বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সমকালের এজেন্ট মো.

রানা, মো. শহিদুল, সুহৃদ অমিত পাল, জামিল মিয়া, আবু মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন সুহৃদদের শীতবস্ত্র বিতরণ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এই শীতে সদর উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার ছিন্নমূল মানুষকে কম্বল দিয়ে সহযোগিতা করেছি। এ কাজে বরাবরের মতো সুহৃদরা এগিয়ে এসেছেন। অনেক ধন্যবাদ সুহৃদ টিমকে।’ 
পত্রিকা বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা পত্রিকা বিক্রেতারা পাঠকের কাছে সাংবাদিকদের খবর পৌঁছে দিই। কয়েকজন সাংবাদিক ছাড়া আমাদের কেউ তেমন খোঁজখবর রাখে না। গত দুই বছর ধরে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ আমাদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।’ 
তরুণ সংগঠক মারুফ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, সমকালের কুড়িগ্রামের সুহৃদরা এই শীতে দারুণ কাজ করছে। আমরা এ কাজে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত।’ v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, কুড়িগ্রাম
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সহয গ ত সমক ল ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট

সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।

রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক। 

জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন। 

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ