সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। সোমবার সাংবাদিক শিমুলের হত্যার আট বছরেও দোষীদের শাস্তি না হওয়ায় শাহজাদপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু জাফর লিটনের সভাপতিত্বে কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, সাবেক সভাপতি বিমল কুণ্ডু, সাংবাদিক আবুল কাশেম, রাসেল সরকার, মির্জা হুমায়ুন, জহুরুল ইসলাম, জাকারিয়া মাহমুদ। এ সময় আব্দুল হাকিম শিমুলের স্ত্রী বেগম নুরুন্নাহার, মেয়ে তামান্না-ই ফাতেমা, ছেলে আল নোমান নাজ্জাশি সাদিক ও শিমুলের মামা আলহাজ আব্দুল মজিদ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর পৌর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক শিমুল। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পৌরসভার সাবেক মেয়র হালিমুল হক মিরুসহ ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন শিমুলের স্ত্রী। ২০১৭ সালের ২ মে ৩৮ জনকে আসামি করে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। পরে মামলাটি শাহজাদপুর আমলি আদালত থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। আসামিদের নানা পদক্ষেপের কারণে অভিযোগ গঠন বিলম্বিত হতে থাকে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন অপরাধের মামলার বিচার আবার শুরু হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের মামলার বিচারকাজ আবার শুরু হতে যাচ্ছে। নিউইয়র্কের একটি আদালতে আগামী মঙ্গলবার এ বিচারকাজ শুরু হবে।
ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে হওয়া মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এই মিডিয়া মোগলকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল।
জোডি ক্যানটর ও মেগান টুহে নামের নিউইয়র্ক টাইমসের ২ প্রতিবেদক ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে প্রতিবেদন লিখে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তাঁদের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সে সময় সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলন।
উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে তাঁর সাবেক প্রযোজনা সহকারী মিমি হ্যালেইকে যৌন নির্যাতন (২০০৬ সালে) এবং অভিনেত্রী জেসিকা মানকে ধর্ষণের (২০১৩ সালে) অভিযোগে মামলা হয়েছে।
২০২০ সালে নিউইয়র্কের একটি জুরিবোর্ড মিমি হ্যালেইকে যৌন নির্যাতন এবং অভিনেত্রী জেসিকা মানকে ধর্ষণসহ উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের দুটিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তখন উইনস্টেইনকে ২৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন উইনস্টেইনের আইনজীবীরা। ২০২৪ সালের এপ্রিলে একটি আপিল আদালত নিউইয়র্ক জুরিবোর্ডের ওই আদেশ বাতিল করে দেন।
আপিল আদালত থেকে বলা হয়, উইনস্টেইনের বিচারের সময় আদালতে যেভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, তা যথাযথ আইন মেনে হয়নি। আদালত থেকে বিচারকাজ আবার শুরু করার আদেশও দেওয়া হয়।
আগামী মঙ্গলবার ম্যানহাটন ফৌজদারি আদালতে উইনস্টেইনের বিচারকাজ শুরু হবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উইনস্টেইনের বয়স এখন ৭৩ বছর। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নতুন করে তদন্ত করা হবে বলে আশা করেন তিনি।
আরও পড়ুন'মি টু' আন্দোলনের জয়, দোষী সাব্যস্ত উইনস্টেইন২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০উইনস্টেইন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ কখনো স্বীকার করেননি; বরং দাবি করেন যে তিনি কোনো ভুল করেননি। যা কিছু হয়েছে, তা পারস্পরিক সম্মতিতে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় অন্য একটি ধর্ষণের মামলায় ২০২৩ সালে আদালত উইনস্টেইনকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুনজোলি আর গিনেথকেও কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন হার্ভে১১ অক্টোবর ২০১৭