ময়লার স্তূপে পাওয়া সাউন্ড গ্রেনেডে বিচ্ছিন্ন শিশুর হাত
Published: 3rd, February 2025 GMT
রাজধানীর কদমতলীর শনিরআখড়া জাপানি বাজার এলাকায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া সাউন্ড গ্রেনেডে একটি শিশুর হাত উড়ে গেছে। আহত শিশুর নাম নূর ইসলাম (৮)। রোববার দুপুরের পর ঢাকার শনির আখড়ার জাপানি বাজারের ৪ নম্বর গলিতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে শিশুটি রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার ঢাকার কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাফায়েত হোসেন বলেন, বিস্ফোরিত বস্তুটি সাউন্ড গ্রেনেড। ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানা থেকে অস্ত্র, গুলিসহ নানা সরঞ্জাম লুট হয়। এই সাউন্ড গ্রেনেড তখন লুট হয়ে থাকতে পারে অথবা আন্দোলনের সময় পুলিশের ব্যবহৃত সাউন্ড গ্রেনেড অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকতে পারে। শিশুটি এটি ময়লার স্তূপে খুঁজে পায়। নূর ইসলাম এখন পঙ্গু হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
শিশুটির মা বিউটি আক্তার বলেন, রোববার দুপুরে খাওয়ার পর বাসা থেকে খেলতে বের হয় নূর ইসলাম। তখন অদ্ভুত বস্তু নিয়ে বাসায় এসে আমাকে দেখায়। আমি নিজেও হাতে নিয়ে দেখেছিলাম। পরে আবার ছেলের হাতে দিয়ে ফেলে দিতে বলি। এর একটু পরই বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনে বাসার বাইরে বেরিয়ে দেখি নূরের হাতের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মাথার চুলে আগুন ধরে আছে।
তিনি বলেন, এ অবস্থা দেখে দ্রুত নূরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই নূরের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
নূরের বাবা মো.
তিনি বলেন, ‘তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করার চিন্তা করছিলাম। এর মধ্যেই দুর্ঘটনায় শিশুটির হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। ছেলেটার কত বড় ক্ষতি হলো, এইটা বোঝে না। তবে আমি বাবা হইয়্যা, মানতে পারছি না। ছেলেটা চিরতরে পঙ্গু হইয়্যা গেল।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে ধরলো জনতা, ছাড়লো পুলিশ!
বন্দরে ড্রেজার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি শাওন (৩২)কে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করার পরও মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
জনতা কর্তৃক আটককৃত মামলার আসামিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে সচেতন মহল। বন্দর থানা পুলিশের এ রকম কর্মকান্ডের জন্য র্তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গনমাধ্যমের কাছে এসব কথা জানিয়েছে মামলার বাদিনী সিনথিয়াসহ তার পরিবার।
জনতা কর্তৃক আটককৃত হামলাকারি শাওন বন্দর থানার নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। এর আগে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বন্দর থানার চৌরাপাড়া এলাকা থেকে ওই হামলাকারিকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয় জনতা।
উল্লেখ্য, বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার মৃত সামছুজ্জামান ওরফে বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও বাদিনী স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। উল্লেখিত বিবাদীগন বাদিনীর পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা।
বিবাদীদের সহিত বাদিনী স্বামীর ঘটনার পূর্ব হইতে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল। গত সোমবার (২০ জানুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বাদিনী স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ (৩০) কাজশেষে পায়ে হেঁটে বাড়িতে ফেরার পথে রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় সময় বন্দর থানাধীন কাইতাখালি সিকদার বাড়ির মোড়ে পৌছামাত্র পূর্ব হইতে ঘটনাস্থলে ওৎপেতে থাকা বন্দর থানার উত্তর পাড়া লুয়ারপুল এলাকার মৃত ফকির সেক্রেটারী ছেলে শাহ-নেওয়াজ ওরফে শাহানাজ, নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়া ইকবাল নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার আলমগীরসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাদিনী স্বামী চলার পথ গতিরোধ করে উল্লেখিত বিবাদীগন অতর্কিতভাবে মারপিট শুরু করে।
সন্ত্রাসী শাহনেওয়াজ তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর বুকের ডান পাশে ঘাই মারিয়া মারাত্বক কাটা রক্তাক্ত ছিদ্রযুক্ত জখম করে। ইকবাল বিবাদী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর মাথায় ঘাই মারিলে ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করায় ডান হাতের কনুই এর নিচে গুরুত্বর রগ কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
৩নং আসামী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর ডান পায়ের হাটুর উপরের অংশে ঘাই মারিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম করে। অজ্ঞাত আসামীরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করিয়া আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা রক্তজমাট জখম করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার এসআই ফারুক হোসেনের যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।