গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৫ মাসে সব মিলিয়ে ৬১ হাজার ৭০৯ জন নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজ ফিলিস্তিনির সংখ্যা যুক্ত করে সোমবার গাজার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। এর আগে তারা লাশ গণনার ভিত্তিতে নিহতের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৪৮৭ বলে জানিয়েছিল। ধ্বংসস্তূপে আটকা ধরা হয় ১৪ হাজার ২২২ জনকে। সব মিলিয়ে ৭৬ শতাংশের মরদেহ উদ্ধার করা গেছে। আটকা পড়াদের মৃত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
গাজায় নিহতের মধ্যে ১৭ হাজার ৮৮১টি শিশু রয়েছে। এর মধ্যে নবজাতক আছে ২১৪টি। ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আহত হন ১ লাখ ১১ হাজার ৫৮৮ জন। এ অবস্থায় চলমান যুদ্ধবিরতি দ্বিতীয় ধাপে নেওয়ার আলোচনা চলছে। আলজাজিরা জানায়, সংশ্লিষ্টরা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাচ্ছে।
সোমবার যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়। এদিন কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর নতুন করে আলোচনা শুরু করে। নতুন করে যদি সমঝোতা না হয়, তাহলে আগামী মার্চ থেকে আবার যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
এ অবস্থায় ওয়াশিংটন সফরে গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগে ট্রাম্প মিসর ও জর্ডানকে গাজা থেকে আরও শরণার্থী গ্রহণের আহ্বান জানান।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, এর প্রতিবাদ জানিয়ে ইরান বলেছে, এটি ‘জাতিগত নিধনের’ শামিল। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই বলেন, কোনো তৃতীয় পক্ষ ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে না। ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষও।
এদিকে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী একের পর এক ভবন ধ্বংস করে দিচ্ছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেই এসব হামলা করছে। হামলা হচ্ছে অধিকৃত পশ্চিমতীরের জেনিনেও।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে নিলামের টাকা আত্মসাত করল বিএনপি নেতা
গাজীপুরের শ্রীপুরে মো. মাইজ উদ্দিন (৫০) নামের এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার আধা পাকা ভবন ও নিলামে গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (৯ মার্চ) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে উপজেলার নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার আবু হায়দার মো. নোমান লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত মাইজ উদ্দিন উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে ও কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার আধা পাকা পুরনো টিনশেড ঘর ও গাছ বিক্রির নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিলামের জামানতের টাকাগুলো মাদ্রাসার মাওলানা নূরুল হকের কাছে জমা রাখা হয়। বিএনপির নেতা লোকজন নিয়ে এসে শিক্ষকের কাছে রাখা টাকাগুলো নিয়ে যান।
আরো পড়ুন:
নারী-শিশুদের প্রতি বাড়তে থাকা সহিংসতা উদ্বেগজনক: সালাহউদ্দিন
আ.লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ
নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার আবু হায়দার মো. নোমান অভিযোগ করে জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সামনে খোলা নিলাম হয়। সেখানে ৬ জন জামানত জমা দেন। তাদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যক্তির টাকা জামা রাখা হয় মৌলভী শিক্ষকের কাছে। শিক্ষা কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর বিএনপির নেতা লোকজন নিয়ে এসে নিলামের টাকা নিয়ে যান। টাকা ফেরত চাইতে গেলে হুমকি দেন।
শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘মাদ্রাসার নিলামের টাকা লুটের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে। লুট হওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’’
এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, ‘‘মাদ্রাসার নিলামের জামানতের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/রফিক/বকুল