বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে নূর নবী সরকার (৪৬) নামের একজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায়  আজ সোমবার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।  

অভিযুক্ত নূর নবী সরকার উপজেলার সিনজানী গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। 

জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃবধূর স্বামী জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে কাজের উদ্দেশে বের হন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখে ঘরের দরজায় তার স্ত্রীর হাত ধরে টানাটানি করছে নূর নবী সরকার। তখন তারা চিৎকার করলে নূর নবী সরকার সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেসময় গৃহবধূর স্বামী ও স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নূর নবীকে স্থানীয় জনতার কাছে থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনে। 

গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে নূর নবী সরকার অনেক আগে থেকেই উত্ত্যক্ত করত। তাকে বারবার নিষেধ করলেও কথা শুনত না।’

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক গ হবধ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলামের পদত্যাগ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার (১০ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

আমিনুল ইসলাম নিজেই সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বারবার তাগাদা দিচ্ছিল পদত‍্যাগ করতে। তাই, আজ দুপুর ২টার দিকে আমার পিএসের মাধ্যম‍ে পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সচিবে কাছে পাঠিয়েছি।”

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা আছে ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এতদিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিন জনকে বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করেন। এই তিন জনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ