ছেলের বিয়ে থেকে গ্রেপ্তার আ’লীগ নেতা ফখরুল রিমান্ডে
Published: 3rd, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আনোয়ার চৌধুরীর দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালতে শুনানি শেষে সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর এ আদেশ দেন। পুলিশ ফখরুলের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল।
অন্যদিকে নগরের ডবলমুরিং থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের করা খুনের মামলায় স্বর্ণ চোরাচালানের গডফাদার আবু আহম্মদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত শনিবার রাতে ছেলের বিয়েতে আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আনোয়ারকে অবরুদ্ধ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। পরে খুলশী থানা পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে। ফখরুল ফটিকছড়ি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ার চৌধুরী ওরফে সোনা রফিকের ভাই এবং ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনির চাচা।
চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস এলাকায় নৌবাহিনীর মালিকানাধীন অভিজাত নেভি কনভেনশন সেন্টারে ফখরুল আনোয়ারের ছেলে সৈয়দ মিনহাজুল আনোয়ারের সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের নাতনি সৈয়দা মাহবুবা হোসনে আরা মনজুরের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। মনজুর আলমের বড় ছেলে নিজামুল আলমের মেয়ে মাহবুবা। বিয়েতে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বিএনপি নেতা ডা.
তবে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য কনভেনশন সেন্টারের ভেতরে থাকা দু-তিন তরুণকে লাঠিপেটা করতে থাকেন। এতে এক তরুণের পরনের পোশাক ছিঁড়ে যায়। তাদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। মারধরের শিকার ব্যক্তিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা এমএসএফের
মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা বলেছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা ছাড়া কাউকে আটক রাখা আইন পরিপন্থী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানায় এমএসএফ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কোনো মামলা না করে মেঘনা আলমকে দুই দিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে রেখে তৃতীয় দিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এমএসএফ মনে করে, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত রাখতে সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ নিতে পারে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির চেষ্টা করা এবং দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে মেঘনাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি কী ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন, তা ডিএমপির পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলা হয়নি।
আরও পড়ুনবিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ, মডেল মেঘনা কারাগারে১১ এপ্রিল ২০২৫উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আজ প্রথম আলোকে বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিকর কাজ থেকে তাঁকে নিবৃত্ত রাখার জন্য আটক করতে পারেন। মডেল মেঘনা আলম ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত। যে কারণে তাঁকে গতকাল রাতে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন।
আরও পড়ুনমডেল মেঘনা আলমকে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ রাখার কারণ হিসেবে যা বলল পুলিশ১১ এপ্রিল ২০২৫