চিত্রনায়ক আমিন খান বলেছেন, “ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরকে অনেক অনেক ভালোবাসি। বার বার এই জেলায় আসতে চাই।এখানকার মানুষের ভালোবাসা আমাকে খুব টানে। সবার প্রতি জানাচ্ছি অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা।”

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হাজীগঞ্জের সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন হাজীগঞ্জে মার্সেলের সৌজন্যে মার্সেল ফুটবল টুর্নামেন্ট সিজন-২ এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। 

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে মার্সেলের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

নাটোরে মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন র‌্যালি

মেসার্স মমিন ইলেকট্রনিক্সের আয়োজনে এবং মার্সেল ব্রান্ডের সৌজন্যে এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টে মোট ১৬টি দল অংশ নেয়।

হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মার্সলের হেড অফ বিজনেস মতিউর রহমান, হেড অফ সেলস্ নুরুল ইসলাম রুবেল, ডি এস এম জাহিদ হাসান, ব্র্যান্ড ম্যানেজার উদ্দাম হোসেন মৃধা, আর এস এম ফয়েজ আহমেদ, হাজীগঞ্জ মার্সেল এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর এবং মেসার্স মমিন ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী জিল্লুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।

খেলাশেষে টুর্নামেন্টে বিজয়ী এবং পরাজয়ী দল ছাড়াও সেরা খেলোয়াড়দের এবং অতিথিদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

ঢাকা/জয়/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাড়ে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলো আমদানিকৃত ৭৪ গাড়ি

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিদেশ থেকে আমদানি করা ৭৪টি মূল্যবান গাড়ির ঠিকানা হলো রি-রোলিং মিল। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ভাঙারি হিসেবে গাড়িগুলো কেটে প্রতি কেজি ২৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করে দিলো চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমতি সাপেক্ষে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে  বিক্রি করা হয়েছে স্ক্র্যাপ করা গাড়িগুলো।

জানা গেছে, নিলামে অংশ নেয় চট্টগ্রামের ১৫টিরও বেশি রি-রোলিং মিল। ৫৮টি লটে ৭৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য প্রতি টনের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ৫৩ হাজার টাকা। কিন্তু নিলামে দর ওঠে ২৪ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত। অবশ্য, ১৩ হাজার টাকা থেকেই শুরু হয়েছিল ডাক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে  চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ৭৪টি গাড়ির কাটা টুকরো বিক্রি হয়েছে। প্রতি টনের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ৫৩ হাজার টাকা।

সূত্রমতে, গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরেই স্ক্র্যাপ করতে কাটা হয়েছিল এই ৭৪টি গাড়ি। মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতায় গাড়িগুলো আগেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল বলে দাবি চট্টগ্রাম কাস্টমসের।

চট্টগ্রাম কাস্টমস জানায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিলাম না হওয়ার কারণে বন্দর ইয়ার্ডে পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। চুরি হয়ে যায় গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ। চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ বছর ধরে পড়ে ছিল আমদানি করা ১২১টি দামি গাড়ি। দীর্ঘ সময় পড়ে থাকায় সেসব গাড়ির আয়ু শেষ হয়ে গেছে। অনেকগুলোর মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি অনুযায়ী, এত পুরনো গাড়ি নিলামে বিক্রির সুযোগ নেই। এ অবস্থায় বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কাস্টমস নিলাম কমিটি ২০২২ সালে ১২১টি গাড়ি ধ্বংসের সুপারিশ করে।

বিকল্প কোনো পথ না থাকায় আমদানি করা গাড়িগুলো কেটে স্ক্র্যাপ হিসেবে কেজি দরে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কাস্টমস। কারণ শেডে থাকা ওই গাড়িগুলোতে বিস্ফোরণ বা দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি রয়েছে। প্রথম দফায় ৭৪টি গাড়ি কেটে স্ক্র্যাপ হিসেবে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে বাকি ৪৬টি গাড়িও কাটা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার (নিলাম) মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতায় গাড়িগুলো আগেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এজন্য এনবিআরের অনুমতি নিয়ে গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ আকারে বিক্রি করা হয়েছে।

এদিকে, মূল্যবান ৭৪টি গাড়ি ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করা নিয়ে বিডারদের অভিযোগের শেষ নেই। তারা বলেন, শর্তারোপের মাধ্যমে শুধুমাত্র রি-রোলিং মিলগুলোকেই উন্মুক্ত নিলামে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ