‌তিতুমী‌র কলেজের শিক্ষার্থীরা অব‌রোধ তু‌লে নেওয়ায় ছয় ঘণ্টা পর ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা সেকশনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

সোমবার রাত ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ট্রেন চলাচল চালু হয় বলে জানিয়েছেন  ঢাকার কমলাপুর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, দুপুর ৩টা ৪০মিনিট থেকে রাত ৯টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এর পর রাত ৯টা ৫০ মিনিটে প্রথম ট্রেন হিসেবে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যায়।

বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দর স্টেশনে আটকে থাকা এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেন ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। তেজগাঁও স্টেশনে আটকে থাকা নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ৯টা ৫০মিনিটের পরে বিমানবন্দর স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে সরকার পদক্ষেপ নেবে- এমন আশ্বাসে সোমবার রাতে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান, সরকারি তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মন্ডলের উপস্থিতিতে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ৫০ ম ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

হেনস্তা, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে চবিতে মশাল মিছিল

মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি হেনস্তা, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানিয়ে আইনি সংস্কারের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর কাটাপাহাড় রোড হয়ে বিজয় ২৪ হলের সামনে গিয়ে থামে। এ সময় ওই হল থেকে শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে প্রতিবাদ জানান। বিভিন্ন হল থেকে বেরিয়ে নারী শিক্ষার্থীরা মশাল হাতে মিছিল করেন।  অন্যান্য ছাত্রী হল প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাস হয়ে জিরো পয়েন্ট গেটে অবস্থান নেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই দেশে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ বাড়ছে। ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, দরকার হলে আমরা আরেকটি জুলাই নিয়ে আসব। তাও ধর্ষকদের ফাঁসির মঞ্চে ঝুলাতে হবে।

ইংরেজি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওশিন তাবাসসুম জুথি বলেন, আইনি জটিলতার কারণে ধর্ষকরা বারবার খালাস পেয়ে যায়। আমরা সেই আইন সংস্কার চাই এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।

নারী অঙ্গনের মুখপাত্র সুমাইয়া শিকদার বলেন, আমরা এখনও নিরাপদ নই। নিজের ক্যাম্পাসেই নিজেকে অনিরাপদ মনে হয়। এই অমানুষদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে, যেন তারা কোনোভাবেই আইনের ফাঁক দিয়ে বের হতে না পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ