Samakal:
2025-04-09@04:12:38 GMT

এবার ইউরোপে শুল্ক আরোপের হুমকি

Published: 3rd, February 2025 GMT

এবার ইউরোপে শুল্ক আরোপের হুমকি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ওপর ‘নিশ্চিতভাবে’ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন। তাঁর মতে, ইউরোপীয়রা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বেশি সুবিধা নিচ্ছেন। ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বৈষম্য ৩০০ বিলিয়নের বেশি। প্রতিবেশী মেক্সিকো, কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প এ হুমকি দিলেন। সেসঙ্গে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সহায়তা তহবিল বন্ধেরও হুঁশিয়ারি দেন। 

ইউরোপের দেশগুলো সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইউরোপের দেশ) আমাদের গাড়ি কিনে না; আমাদের কৃষিপণ্য নেয় না। বলতে গেলে তারা কিছুই নেয় না। আমরা লাখ লাখ গাড়ি, বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য তাদের কাছ থেকে নিই।’ তবে কবে থেকে এ শুল্ক আরোপ করা হবে, তা নির্দিষ্ট করেননি ট্রাম্প। 

তিনি বলেন, শিগগিরই এটা করা হতে পারে। সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের প্রতি এমন দৃষ্টিভঙ্গি থাকলেও ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কোনো ধরনের বাগড়ায় যাবেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁর মতে, যুক্তরাজ্য এ তালিকায় নেই।

এ প্রেক্ষাপটে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে জড়ো হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। তারা মহাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার করতে চান। সম্প্রতি ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড দখলের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ বাস্তবতায় বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। 

ট্রাম্পের হুমকি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎস বলেছেন, এর চেয়ে ভালো হয় ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যদি একটি চুক্তি করে নেয়। ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলছেন, এটা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার জন্ম দেবে। একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্পেনও।

শুল্কের জেরে মার্কিন ভোক্তারা দুর্ভোগে পড়তে পারেন। কারণ, বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি সাধারণত মেক্সিকো থেকে আসে। শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় এগুলোর মূল্য বাড়বে। 

এদিকে রোববার অটোয়ায় কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হকি ম্যাচ চলাকালে বিরল এক ঘটনা ঘটে। ওই ম্যাচে গ্যালারিতে থাকা কানাডার দর্শকরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘বো’ ‘বো’ বলে বিদ্রুপাত্মক স্লোগান দিতে থাকেন। ধারণা করা হয়, শুল্ক আরোপের জেরে কানাডার নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ২৫ শতাংশ কর আরোপ করেছেন। কানাডাজুড়ে ‘দেশি পণ্য ব্যবহার করুন’ স্লোগান জোরালো হয়েছে।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রভাব পড়েছে এশিয়ার পুঁজিবাজারে। হংকং, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁজিবাজারে সূচক ২ শতাংশ কমেছে। চীনের মুদ্রার মূল্য ডলারের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ পড়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে ট্রাম্পের শুল্ক। 

বার্তা সংস্থা এপি জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকায় সব ধরনের সহায়তা বন্ধের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প, যদি না দেশটি তাদের নীতি পুনর্বিবেচনা করে। ট্রাম্প দাবি করেন, নতুন ভূমি অধিগ্রহণ আইনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা নিজ দেশের কিছু সংখ্যক মানুষের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর প শ ল ক আর প র ইউর প র ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

ডোমিনিকায় নৈশ ক্লাবের ছাদ ধসে নিহত বেড়ে ৬৬

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাজধানী সান্তো ডোমিঙ্গোতে মঙ্গলবার একটি নৈশ ক্লাবের ছাদ ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১৫৫ জন আহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া। 

সান্তো ডোমিঙ্গোর জরুরি অপারেশন কেন্দ্রের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্দেজ জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। 

তিনি এই দুর্ঘটনাকে এমন একটি দুর্ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা কেবল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেই নয়, সমগ্র জাতিকে শোকের ছায়ায় ডুবিয়ে দিয়েছে।

ডোমিনিকান প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদার নিহতদের সম্মান জানাতে ৮ এপ্রিল থেকে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।

মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর জেট সেট নৈশ ক্লাবে একটি পার্টি চলাকালীন ধসের ঘটনা ঘটে। জেট সেট সান্তো ডোমিঙ্গোর একটি সুপরিচিত নৈশ ক্লাব এবং প্রায়শই সপ্তাহজুড়ে লাইভ পারফরমেন্সের আয়োজন করে।

নৈশ ক্লাবটির ছাদ কীভাবে ধসে পড়ল সেটি এখনো জানা যায়নি। ধসের কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাদ ধসের সময় নৈশ ক্লাবটির ভেতর প্রায় ৩০০ জন ছিলেন।

ড্রোন থেকে নেওয়া ফুটেজে দেখা গেছে, ক্লাবটির ছাদের মাঝের অংশ ধসে গর্ত তৈরি হয়েছে। সেখানেই মূলত সবাই ছিলেন। 

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যান্ড দল গান পরিবেশন করছে। ওই সময় স্টেজের কাছ থেকে একজনকে আঙুল দিয়ে দেখান যে ক্লাবের পেছনে কিছু একটা পড়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ছাদে থাকা লাইটগুলো ধসে পড়তে থাকে। এরপর মুহূর্তের মধ্যে পুরো ছাদটি ধসে পড়ে। ওই সময় মানুষের গোঙানি ও আত্মচিৎকার শোনা যায়। এর কয়েক সেকেন্ড পর ভিডিওটি কালো হয়ে যায়।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ