দরিদ্রতা জয় করে শিশুকালে মা হারানো ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের নিকড়হাটা গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী শাপলা খাতুন নীলফামারী মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। এসময় ঈশ্বরদীর আরেক কৃতি শিক্ষার্থী সামিন ইয়াসির সামি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় তাকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সুহৃদরা। 

সোমবার সকালে সাপ্তাহিক ঈশ্বরদীর কার্যালয়ে শাপলার হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা ও তার মেডিকেলে ভর্তির জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের কর্মকর্তা ও সদস্যরা।

এদিকে ‘মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত শাপলার’ শিরোনামে সমকাল অনলাইনে গত শুক্রবার এবং ‘মায়ের মৃত্যুতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন, বাধা অর্থ’ শিরোনামে গতকাল সোমবার সমকালে প্রতিবেদন দেখে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ শাপলার ভর্তির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সমকাল সুহৃদরা শাপলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে অবহিত করলে তার বাবা শফিকুল ইসলাম সম্মত হন। তাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শাপলাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও তার ভর্তির বিষয়ে সমন্বয় করা হয়। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সুহৃদরা শাপলাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তার পারিবারিক অবস্থার কথা তুলে ধরলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ শাপলার হাতে মেডিকেলে ভর্তির জন্য সমুদয় অর্থ ও ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তার ভর্তি ছাড়াও পড়ালেখা কালীন বিভিন্ন প্রয়োজনে তাকে সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এসময় শাপলার বাবা অটো ইজিবাইক চালক শফিকুল ইসলাম, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু,  সমকালের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি সেলিম সরদার, সুহৃদ উপদেষ্টা আফছার আলী, মনিরুল ইসলাম বাবু, আব্দুস সামাদ, প্রধান শিক্ষক গোলাম রসুল, সিরাজুল ইসলাম, সুহৃদ ঈশ্বরদী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, দুর্জয় ইসলাম লিমন, হাসান চৌধুরী, ফিরোজ আহমেদ, রাকিবুল ইসলাম রূপম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমক ল স হ দ ল ইসল ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বই পেয়ে খুশি বেদে সম্প্রদায়ের শিশুরা, শিক্ষা সহায়তায় এগিয়ে এলো প্রশাসন

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাযাবর জীবনযাপন করা বেদে সম্প্রদায়ের শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পৌরসভার ২ নম্বর সদরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ জন বেদে শিশুকে ফুল দিয়ে বরণ করে তাদের হাতে বই ও শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, বেদে সম্প্রদায়ের শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে দূরে রয়েছে। তাদের স্কুলে পাঠানোর দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসন নিয়েছে, যাতে কোনো সম্প্রদায় শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।

বই হাতে পেয়ে শিশু রেক্সোনা, ববি আক্তার ও হায়দার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলে, বই পেয়ে আমরা খুব খুশি, কাল থেকে নিয়মিত স্কুলে যাবো ও লেখাপড়া করবো।

বেদেনী সর্দার শাহীনূর বেগম বলেন, আমাদের জীবন যাযাবর হলেও আমাদের সন্তানরা শিক্ষিত হয়ে সমাজের সবার সঙ্গে চলতে পারবে। প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, এতে আমরা অনেক খুশি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. তহিদুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা ইয়াসমিন আক্তার ববি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি 'ঠান্ডা বাতাসে কেঁপে কেঁপে উঠি মোরা' শিরোনামে সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বেদে সম্প্রদায়ের দুর্দশার চিত্র উঠে আসে। এরপরই উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

এ উদ্যোগের ফলে বেদে সম্প্রদায়ের শিশুরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছে, শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে তারা সমাজের মূল স্রোতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বই পেয়ে খুশি বেদে সম্প্রদায়ের শিশুরা, শিক্ষা সহায়তায় এগিয়ে এলো প্রশাসন
  • দরপত্র লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি অজ্ঞাত
  • তৃতীয়বারের মতো গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৭ ইটভাটা
  • গুলি-ককটেল ফাটিয়ে হাট ইজারার টেন্ডার বাক্স লুট
  • স্লোগান দিয়ে-গুলি ছুঁড়ে টেন্ডার বাক্স লুট
  • মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
  • ‘নারায়ে তাকবীর’ স্লোগান দিয়ে টেন্ডার বাক্স লুট
  • রাজশাহীতে গুলি ছুড়ে, ককটেল ফাটিয়ে টেন্ডার বাক্স লুট
  • মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া রাকিবুলের পাশে এবার সাঁথিয়ার ইউএনও