শাপলার মেডিকেল কলেজে ভর্তির দায়িত্ব নিলেন ইউএনও
Published: 3rd, February 2025 GMT
দরিদ্রতা জয় করে শিশুকালে মা হারানো ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের নিকড়হাটা গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী শাপলা খাতুন নীলফামারী মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। এসময় ঈশ্বরদীর আরেক কৃতি শিক্ষার্থী সামিন ইয়াসির সামি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় তাকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সুহৃদরা।
সোমবার সকালে সাপ্তাহিক ঈশ্বরদীর কার্যালয়ে শাপলার হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা ও তার মেডিকেলে ভর্তির জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
এদিকে ‘মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত শাপলার’ শিরোনামে সমকাল অনলাইনে গত শুক্রবার এবং ‘মায়ের মৃত্যুতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন, বাধা অর্থ’ শিরোনামে গতকাল সোমবার সমকালে প্রতিবেদন দেখে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ শাপলার ভর্তির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সমকাল সুহৃদরা শাপলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে অবহিত করলে তার বাবা শফিকুল ইসলাম সম্মত হন। তাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শাপলাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও তার ভর্তির বিষয়ে সমন্বয় করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সুহৃদরা শাপলাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তার পারিবারিক অবস্থার কথা তুলে ধরলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ শাপলার হাতে মেডিকেলে ভর্তির জন্য সমুদয় অর্থ ও ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তার ভর্তি ছাড়াও পড়ালেখা কালীন বিভিন্ন প্রয়োজনে তাকে সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এসময় শাপলার বাবা অটো ইজিবাইক চালক শফিকুল ইসলাম, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু, সমকালের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি সেলিম সরদার, সুহৃদ উপদেষ্টা আফছার আলী, মনিরুল ইসলাম বাবু, আব্দুস সামাদ, প্রধান শিক্ষক গোলাম রসুল, সিরাজুল ইসলাম, সুহৃদ ঈশ্বরদী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, দুর্জয় ইসলাম লিমন, হাসান চৌধুরী, ফিরোজ আহমেদ, রাকিবুল ইসলাম রূপম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমক ল স হ দ ল ইসল ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় নারীকে প্রকাশ্যে কিল-ঘুষি
শ্লীলতহানির প্রতিবাদ করায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ সদরে এক নারীকে সড়কে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের এ মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, সড়করে ওপর ফেলে এক নারীকে এক যুবক কিল ও ঘুষি দিচ্ছেন। আর যুবককে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছেন পথচারী ও স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর রোডে পোশাক বিক্রির দোকান খন্দকার বস্ত্রালয়ে পোষাক কিনতে গিয়েছিলেন ওই নারী। এসময় তিনি দোকানের মালিক জাকির হোসেনের শ্লীলতাহানির শিকার হন।
ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্য, পোশাক দেখানোর নামে তার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন দোকান মালিক। তিনি এর প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর শুরু করেন দোকান মালিক। কিল-ঘুষি মারতে মারতে দোকানের বাইরে সড়কের ওপর নিয়ে যান।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী জানান, দোকানের ভেতরে হট্টগোল দেখে তারা গিয়ে উভয় পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন। তবে এর আগেই হামলার ঘটনা ঘটে যায়।
অভিযুক্ত জাকির হোসেন নিজেকে ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দোকানের মধ্যে গিয়ে তার ওপর হামলা করলে তিনি পাল্টা হামলা করেন। এতে দোষ হলে তার কিছুই করার নেই।
অবশ্য বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামের ভিন্ন দাবি, জাকির ওই নারীর ছেলের ওপর হামলা করেন। এসময় ওই নারী তার ছেলেকে রক্ষা করতে যান। তবে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।