ছয়বছর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় করা মামলায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. মশিউর রহমানের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মো.

হাসানুজ্জামান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আসামির রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াক আসামির জামিন নামঞ্জুর করে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায় শোনার জন্য খালেদা জিয়া ঢাকার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় তাঁর গাড়িবহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকায় পৌঁছালে সেখানে হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। 

এ ঘটনায় গত বছরের ১৬ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। রিমান্ডে যাওয়া মশিউর রহমান এ মামলায় ৫৫নং এজাহারনামীয় আসামি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়িতে রাগ করে টয়লেট ক্লিনার খেয়ে ফেলেছিলাম

প্রশ্ন: বাড়িতে রাগ করে টয়লেট ক্লিনার খেয়ে ফেলেছিলাম গত বছর। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর ওয়াশ করে, বমি করিয়ে সেসব বের করা হয়। অনেক কষ্ট হয়েছিল। এত দিন পর এখনো আমার পেট ব্যথা করে। পেটের মধ্যে খচখচ করে। আমি পুরুষ। আমার কি কোনো টেস্ট করে দেখা উচিত?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: বয়ঃসন্ধিকালে আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করে বসে। তবে যে বয়সেই হোক, দীর্ঘ মেয়াদে এটি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। টয়লেট ক্লিনার খাদ্যনালি ও পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ আবরণ পুড়িয়ে ফেলে বা ক্ষত তৈরি করে। এ ধরনের ক্ষয়কারী পদার্থ গ্রহণের পর কখনোই বমি করানো কিংবা স্টমাক ওয়াশ করানো নিরাপদ নয়। কারণ, এতে খাদ্যনালি বা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়াল আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তা ছাড়া ওষুধের মাত্রা বা চিকিৎসা যথাযথ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে আবার প্রদাহ, আলসার কিংবা সংক্রমণ হতে পারে, খাদ্যনালি সরু হয়ে যেতে পারে। লক্ষণ হিসেবে রোগীর পেটব্যথা, পেট খচখচসহ নানা ধরনের অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের নির্দেশনায় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে খাদ্যনালির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সঠিক কারণ নির্ণয় করুন এবং সে অনুযায়ী যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুনচাইলেই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা যায়০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

সম্পর্কিত নিবন্ধ