বন্দরে ৮ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে সাহেদ হোসেন (১৮) নামে এক লম্পট যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয় জনতা। ধৃত লম্পট যুবক সাহেদ হোসেন বন্দর উপজেলা কুশিয়ারা দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. হোসেন মিয়ার ছেলে। 

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিশুর পিতা ফয়সাল  আহম্মেদ বাদী হয়ে উল্লেখিত লম্পট যুবকের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। যার মামলা নং- ৪(২)২৫। 

পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষনের চেষ্টাকারি সাহেদ হোসেনকে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি)  দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে। একই সাথে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষা পর ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।

এর আগে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা দক্ষিণপাড়াস্থ মো.

হোসেন মিয়ার চৌচালা ঘরে ওই ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা দক্ষিণপাড়া এলাকার ফয়সাল আহম্মেদের ৮ বছরের শিশু কন্যা দীর্ঘ দিন ধরে তাদেরই প্রতিবেশী মো. হোসেন মিয়ার মেয়ে লামিয়া আক্তারে নিকট প্রাইভেট পড়ে আসছিল। 

প্রতিদিনের ন্যায় গত রোববার সন্ধ্যা ৭টায় ফয়সাল আহম্মেদের মেয়ে লামিয়ার নিকট প্রাইভেট পড়তে আসলে ওই সময় প্রাইভেট শিক্ষিকা লামিয়ার লম্পট ভাই সাহেদ হোসেন বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে পশ্চিম পাশের একটি চৌচালা ঘরে পড়তে আসা ৮ বছরের শিশুকে  ধাক্কা দিয়া রুমের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। 

পরে  শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং দস্তাদস্তি শুরু করে। দস্তাদস্তির একপর্যায়ে লম্পট সাহেদ হোসেন অবুঝ শিশু মেয়েকে ধাক্কা দিয়া খাটের উপর বিছানায় ফালাইয়া দেয় এবং জোর পূর্বক ভাবে পড়নের কাপর টানা হেঁচড়া করে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

ওই সময় শিশু মেয়েটি উচ্চস্বরে ডাক চিৎকার করলে আসামি কৌশলে রুম হইতে পালানোর চেষ্টাকালে বাড়ি ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় লম্পট সাহেদ হোসেনকে আটক করে। পরে উত্তেজিত লোকজন ধর্ষনের চেষ্টাকারিকে গণপিটুনি পুলিশে সোর্পদ করা হয়।  

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

‘গোল চুরি’ করে ক্ষমা চাইলেন রাফিনিয়া 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। বড় জয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে ফেলেছে কাতালানরা। দলের একহালিতে স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভিস্কি জোড়া গোল করেছেন। রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল করেছেন একটি করে গোল। 

দলের হয়ে রাফিনিয়া ম্যাচের ২৫ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন। তবে গোলটি হতে পারত কাতালান ডিফেন্ডার পাও কুবার্সির। তিনি বার্সার নেওয়া ফ্রি কিক থেকে গোলের মুখে বল পেয়ে পা বাড়িয়ে শট নেন। তা গোল হয়ে যাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে বল জালে ঢুকিয়ে দেন রাফিনিয়া। 

সতীর্থ কুবার্সির ওই গোল ‘চুরি’ করায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন চলতি মৌসুমে বার্সার হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়া। গোল হবে কিনা দ্বিধা ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি, ‘গোলটা নিয়ে আমি দ্বিধায় ছিলাম। অফ সাইড হয়ে যাওয়ার ভয়ে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আমি কুবার্সির কাছে ক্ষমা চেয়েছি। সে বলেছে- আমি কিছু মনে করিনি। এটাকে গোলে সহায়তাই মনে করেছি।’ 

চলতি মৌসুমে রাফিনিয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ গোল করেছেন। যা মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক। গোল ও গোলে সহায়তা মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৯। এক মৌসুমে ইউরোপের লড়াইয়ে মেসির সমান গোল ও গোলে অবদান রেখেছেন তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়ার কারণে এমনটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান এই বাঁ-পায়ের ফুটবলার, ‘শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলা উপভোগ করি। আমরা দলের একে অপরকে খুব ভালো বুঝি। আশা করছি, এভাবে এগিয়ে যেতে পারবো।’ 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলে ইন্টার মিলান নয়তো বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হতে হবে বার্সার। পূর্বে বায়ার্নে ভীতে দেখা গেছে কাতালানদের। যদিও ফ্লিক এখন শেষ চার নিয়ে ভাবতে রাজি নন, ‘আমরা এখনো জিতিনি। আপনি ফুটবলে কী ঘটবে তা বলতে পারবেন না। পাগলাটে সব ঘটনা ঘটে এখানে। আমরা যেভাবে আজ খেলেছি, এভাবে পরের ম্যাচেও খেলতে হবে।’ বার্সা ও ডর্টমুন্ড দ্বিতীয় লেগে ১৬ এপ্রিল রাতে মুখোমুখি হবে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ