বন্দরে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে ধরলো জনতা, ছাড়লো পুলিশ!
Published: 3rd, February 2025 GMT
বন্দরে ড্রেজার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি শাওন (৩২)কে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করার পরও মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
জনতা কর্তৃক আটককৃত মামলার আসামিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে সচেতন মহল। বন্দর থানা পুলিশের এ রকম কর্মকান্ডের জন্য র্তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গনমাধ্যমের কাছে এসব কথা জানিয়েছে মামলার বাদিনী সিনথিয়াসহ তার পরিবার।
জনতা কর্তৃক আটককৃত হামলাকারি শাওন বন্দর থানার নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। এর আগে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বন্দর থানার চৌরাপাড়া এলাকা থেকে ওই হামলাকারিকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয় জনতা।
উল্লেখ্য, বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার মৃত সামছুজ্জামান ওরফে বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও বাদিনী স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। উল্লেখিত বিবাদীগন বাদিনীর পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা।
বিবাদীদের সহিত বাদিনী স্বামীর ঘটনার পূর্ব হইতে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল। গত সোমবার (২০ জানুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বাদিনী স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ (৩০) কাজশেষে পায়ে হেঁটে বাড়িতে ফেরার পথে রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় সময় বন্দর থানাধীন কাইতাখালি সিকদার বাড়ির মোড়ে পৌছামাত্র পূর্ব হইতে ঘটনাস্থলে ওৎপেতে থাকা বন্দর থানার উত্তর পাড়া লুয়ারপুল এলাকার মৃত ফকির সেক্রেটারী ছেলে শাহ-নেওয়াজ ওরফে শাহানাজ, নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়া ইকবাল নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার আলমগীরসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাদিনী স্বামী চলার পথ গতিরোধ করে উল্লেখিত বিবাদীগন অতর্কিতভাবে মারপিট শুরু করে।
সন্ত্রাসী শাহনেওয়াজ তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর বুকের ডান পাশে ঘাই মারিয়া মারাত্বক কাটা রক্তাক্ত ছিদ্রযুক্ত জখম করে। ইকবাল বিবাদী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর মাথায় ঘাই মারিলে ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করায় ডান হাতের কনুই এর নিচে গুরুত্বর রগ কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
৩নং আসামী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর ডান পায়ের হাটুর উপরের অংশে ঘাই মারিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম করে। অজ্ঞাত আসামীরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করিয়া আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা রক্তজমাট জখম করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার এসআই ফারুক হোসেনের যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
কোকাকোলার এজেন্টের গুদামে গিয়ে হুমকি, আটক ৪
নারায়ণগঞ্জে কোকাকোলার এজেন্টের গুদামে গিয়ে হুমকি ও হামলার চেষ্টার অভিযোগে চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জে নলুয়া রোড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- হামদাদ শরীফ রাইয়ান (২৪), মো. জহির (৩০), মো. রিয়াদ (২৭) এবং মো. সুজন (১৮)। তারা সবাই জেলা সদরের মুসলিমনগর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুর পৌনে ১২টার সময় বাপ্পী চত্বর এলাকার জাহিদ ওরফে জহিরের নেতৃত্বে ৬-৭ জন যুবক কোকাকোলার পরিবেশক ‘দি জামাল অ্যান্ড কোম্পানি’র গুদামে প্রবেশ করেন। জাহিদ ওরফে জহির এবং তার সঙ্গে থাকা আজমীর শেখ সজলসহ সবাই নিজেদের তারেক জিয়া প্রজন্ম দল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন। তারা গুদামে মজুদকৃত কোকাকোলার সব ধরনের কোমলপানীয় ধ্বংসের জন্য সেখানে দায়িত্বেরত নিরাপত্তা কর্মী ও অন্য কর্মচারীদের হুমকি দেন। তারা গুদামটিতে হামলার চেষ্টাও করেন। এ সময় গুদামের কর্মচারীরা বিষয়টি বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চার যুবককে আটক করে।
আরো পড়ুন:
সরস্বতী নদীতে মিলল লুট হওয়া ১২ গ্যাস সেল
সাবেক ওসি মাজহারের স্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে চলমান প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে কিছু কিছু স্থানে সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। সেই ধরনের একটি দুষ্কৃতকারী দল নিতাইগঞ্জে কোকাকোলার ডিলারের গুদামে গিয়ে হুমকিসহ হামলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে চারজনকে আটক করি।”
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় কোকাকোলার ডিলারের পক্ষ থেকে মামলা ও আটককৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা তা নিশ্চিত নই।”
ঢাকা/অনিক/মাসুদ