বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করলেও সফল হবে না আ.লীগ: আসিফ মাহমুদ
Published: 3rd, February 2025 GMT
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রায় ৬ মাস পর নতুন করে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ফেব্রুয়ারিজুড়েই নানা কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। তবে এসব কর্মসূচি দিয়ে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করলেও সফল হবে না আওয়ামী লীগ; এমন মন্তব্য করেছেন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে আয়োজিত স্বরস্বতী পূজা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
আসিফ অভিযোগ করেন, পাঁচ আগস্টের পরিবর্তনের পরে আওয়ামী লীগ প্রথম দিন থেকেই সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছে। নতুন করে ফের কর্মসূচি দিয়েছে তারা। বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করছে। তবে এসব কর্মসূচিতে সফল হতে পারবে না তারা।
আসিফ বলেন, ‘‘এ ধরনের উস্কে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি পাঁচই অগাস্টের পর থেকেই ঘটছে। ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা আছে। এখন পর্যন্ত তারা তাতে সফল হয়নি।’’
বাংলাদেশের জনগণ এ বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘‘মানুষ চায় না আওয়ামী লীগ কোনভাবেই তার মতাদর্শ, তার নাম নিয়ে, একটা এরকম গণহত্যা ঘটানোর পর তারা আবারো ফিরে আসুক। কারণ এটা বাংলাদেশের সকল জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।’’
অনেকবার বিশৃঙ্খলা ঘটাতে তারা চেষ্টা করলেও এবার তারা বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন এই উপদেষ্টা।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার যত দীর্ঘায়িত হবে দেশ তত সংকটে পড়বে: তারেক রহমান
সংস্কার প্রস্তাবের আলাপ-আলোচনা যত বেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ তত বেশি সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, যদি সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করতে থাকি তাহলে যে স্বৈরাচারকে দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বিতাড়িত করেছে সেই স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে যাবে। তারা আবার দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসবে। তাই যে বিজ্ঞ ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ সংস্কারের কথা বলছেন, তারা দয়া করে এই আলাপ দীর্ঘায়িত করবেন না। এতে ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে।
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক কর্মশালায় দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শ্যামপুরের কদমতলীর বালুর মাঠে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ারি যুক্ত হন প্রধান অতিথি তারেক রহমান। কর্মশালায় মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানা বিএনপিসহ ১১টি অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবগুলো যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে সবার আগে নির্বাচনই প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে যাদেরকে জনগণ দায়িত্ব দেবে তারাই সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারবে, তাদেরকে শুরু করতেই হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। কারণ, যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা জনগণের কাছে ওয়াদা করবে যে, তারা সুযোগ পেলে এই সব সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, সংস্কার যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে দেশের মানুষকে তত দ্রুত আমরা বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব। যে সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে, যে সংস্কার প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকারের কমিশনগুলো তৈরি করে দিয়েছে, যেটাই হোক না কোনো এই সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। একটিই পথ, জনগণের নির্বাচন, জনগণের নির্বাচন।
তারেক রহমান বলেন, জবাবদিহিতার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্বাচন হতে হবে, সেটি জাতীয় নির্বাচন কিংবা যে নির্বাচনই হোক। আমরা যদি দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই, আমরা যদি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কাজ শুরু করতেন চাই, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই একটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করতে হবে। যত দ্রুত আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করব, তত দ্রুত আমরা পরিবর্তনের কাজ শুরু করতে পারব। যত দ্রুত আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিতে পারব, তত দ্রুত আমরা দেশকে আরও ধ্বংস হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হব।