ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রায় ৬ মাস পর নতুন করে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ফেব্রুয়ারিজুড়েই নানা কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। তবে এসব কর্মসূচি দিয়ে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করলেও সফল হবে না আওয়ামী লীগ; এমন মন্তব্য করেছেন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে আয়োজিত স্বরস্বতী পূজা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।

আসিফ অভিযোগ করেন, পাঁচ আগস্টের পরিবর্তনের পরে আওয়ামী লীগ প্রথম দিন থেকেই সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছে। নতুন করে ফের কর্মসূচি দিয়েছে তারা। বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করছে। তবে এসব কর্মসূচিতে সফল হতে পারবে না তারা।

আসিফ বলেন, ‘‘এ ধরনের উস্কে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি পাঁচই অগাস্টের পর থেকেই ঘটছে। ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা আছে। এখন পর্যন্ত তারা তাতে সফল হয়নি।’’

বাংলাদেশের জনগণ এ বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘‘মানুষ চায় না আওয়ামী লীগ কোনভাবেই তার মতাদর্শ, তার নাম নিয়ে, একটা এরকম গণহত্যা ঘটানোর পর তারা আবারো ফিরে আসুক। কারণ এটা বাংলাদেশের সকল জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।’’

অনেকবার বিশৃঙ্খলা ঘটাতে তারা চেষ্টা করলেও এবার তারা বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন এই উপদেষ্টা।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের চেয়ে অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশের জন্য এত মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জোর দিয়ে বলেছেন, শিগগির বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। গত বুধবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপে নিউজ১৮-এর ফ্ল্যাগশিপ রাইজিং ভারত সামিটে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন জয়শঙ্কর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য রয়েছে। গণতন্ত্রের জন্যই নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমেই মনোনয়ন দেওয়া এবং তা নবায়ন করা হয়। আমরা আশাবাদী, তারা এ পথই অনুসরণ করবে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট জানায়, বক্তৃতায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক দশকের পুরোনো সম্পর্ক জনগণ ধরে রেখেছে। ভারতের চেয়ে অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশের জন্য এত মঙ্গল চায় না। বিষয়টি ভারতের ডিএনএতেই রয়েছে। শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধু হিসেবে ভারত আশা করে, বাংলাদেশ সঠিক পথে চলবে; ঠিক কাজটি করবে।

সম্প্রতি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়। বক্তৃতায় বৈঠকের বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, বৈঠকে আমাদের প্রধান বার্তা– বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও অদ্বিতীয়। এটি জনগণের সঙ্গে জনগণের এবং আমি মনে করি, অন্য যে কোনো সম্পর্কের চেয়ে বেশি। এ সম্পর্ককে আমাদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে যে বার্তা আসছে, দেশটিতে আমরা যে মৌলবাদী প্রবণতা দেখছি, তা উদ্বেগের। সংখ্যালঘু হামলা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন এবং বৈঠকে উদ্বেগের বিষয়ে খুব খোলামেলা আলাপ হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বামপন্থার পুনর্জাগরণ হচ্ছে না কেন
  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ, তদন্তের আহ্বান সিনেটরদের
  • ভারতের চেয়ে অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশের জন্য এত মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
  • হাসিনার পতনে গ্রামেগঞ্জে প্রভাব ও আওয়ামী কর্মীদের ভাবনা কী
  • প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা বাড়াতে চায় ঢাকা-মস্কো
  • পিছিয়ে গেল ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’
  • ইউনূস-মোদি বৈঠকের ফলাফল কী
  • ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক হতে হবে সম্মান ও সমতার
  • ফিলিস্তিনের জন্য আমরা আরও যা করতে পারি
  • বিক্ষোভের আড়ালে লুটপাট–ভাঙচুরের ঘটনায় বাংলাদেশ জাসদের নিন্দা