সোনারগাঁয়ে পুলিশের অভিযানে ডাকাত সাদ্দাম গ্রেপ্তার
Published: 3rd, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে পুলিশের অভিযানে সাদ্দাম হোসেন নামে এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার কার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসহ ২০ মামলা রয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুওে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত সাদ্দামকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এরআগে রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। আটককৃত যুবক হলেন হাবিবপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানবাহনসহ বিভিন্ন বাসা বাড়িতে সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ডাকাতি সংঘটিত হয়ে আসছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পুড়িয়ে মারতেই পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড, অভিযোগ কাফির পরিবারের
আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নূরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। অগ্নিকাণ্ডের সময় তাদের ঘরের দরজা ও জানালা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ তাদের।
কাফির বাবা এ বি এম হাবিবুর রহমান (৫৯) জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘরের ভিতর ছিলেন তিনি, কাফির মা হাসিনা বেগম (৫৪), বড় ভাই নুরুল্লাহ আল মামুন (৩১), ভাবি আনিছা আক্তার (২৫), ভাইয়ের ছেলে নুরুল হুদা আলভি (৪) এবং দুই মাস বয়সী উম্মে হানি। কাফির বাবা ধোঁয়া দেখে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি বুঝতে পারেন। তারা ঘর ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ঘরের পিছনের ও সামনের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরে ঘরের দরজা ভেঙে কোনোরকমে বাইরে এসে প্রাণে রক্ষা পান তারা।
তিনি রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এভাবে বাইরে থেকে দরজা আটকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি পরিকল্পিত ঘটনা।”
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় নূরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন এ বি এম হাবিবুর রহমান। কারা এ অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে, সেটি জানাতে পারেননি তিনি।
কাফির বড় ভাই নুরুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, “আমার ছোট দুটি বাচ্চা। এক জনের বয়স মাত্র দুই মাস। আমরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।”
প্রতিবেশী ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেছেন, “এটি পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড। বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো ছিল। ফলে, ঘর থেকে কেউ সহজে বের হতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে দরজা ভেঙে সবাই বের হতে বাধ্য হন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”
কলাপাড়া থানার অফিসার জুয়েল ইসলাম বলেছেন, “ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঢাকা/ইমরান/রফিক