চলতি বিপিএলে দুটি বিষয় বেশি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর একটি খেলোয়াড়দের ঠিক মতো পারিশ্রমিক বুঝিয়ে না দেওয়া। অন্যটি স্পষ্ট ফিক্সিংয়ের সন্দেহ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিপিএলে সততার বিষয়টি অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। 

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক মির্জা হায়দার আলীকে আহবায়ক করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম ও আন্তর্জাতিক আইনজীবী ড.

খালেদ এইচ চৌধুরী। 

বিসিবি এক বার্তায় সংবাদ মাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি আরও জানিয়েছে, স্বাধীন তদন্ত কমিটি বিসিবি ও বিসিবির দুর্নীতি দমক ইউনিটকে (আকসু) সহায়তা করবে। 

এবারের বিপিএলে বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ১২ বলের ওভার, লম্বা লম্বা ওয়াইড, হুট করে ধীর ব্যাটিং ইত্যাদি বিষয়ে এরই মধ্যে বেশ ক’জন দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারকে আকসু জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বলেও জানা গেছে। তিন সদস্যের কমিটি এসব তদন্তে সহায়তা করবে।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনা আমলের প্রথম গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০১০ সালে বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম গুমের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার (১০ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে চৌধুরী আলমের ছেলে আবু সাঈদ চৌধুরী এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অপর আসামিরা হলেন—অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইল, কর্নেল মো. মুজিবর, র‍্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও বরখাস্ত) রিয়াজুল ইসলাম, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মেজর এরশাদ, র‍্যাব-২ এর তৎকালীন উপ-অধিনায়ক খান মো. আকতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতন ও নিসার উদ্দিন আহমেদ কাজল, কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি ও বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের প্রধান নিয়ন্ত্রক আফজাল হোসেন, মহানগর বিজনেস অ্যাসোসিয়েটসের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান হুজুর, মহানগর বিজনেস অ্যাসোসিয়েটসের সেক্রেটারি আব্দুল বাসেত মাস্টার, ফুলবাড়ীয়া সুপার মার্কেটের সভাপতি শাহজাহান খান, ফুলবাড়ীয়া বঙ্গ কমপ্লেক্সের সভাপতি মো. শাহজাহান, মীর আল মামুন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, ফুলবাড়ীয়া টার্মিনাল সংলগ্ন মার্কেটের উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন বাচ্চুসহ অজ্ঞাত অনেকে।

২০১০ সালের ২৫ জুন রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কাছে চৌধুরী আলমকে তার গাড়ি থেকে বের করে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। সে সময় তিনি তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর (বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণের ২০ নম্বর) ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন।

২০১০ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হলে আদালত পুলিশ ও সরকারকে দ্রুত চৌধুরী আলমকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলম গুম হওয়ার পর জিডি করলেও তা আর কার্যকর হয়নি সে সময়।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ