না’গঞ্জ চেম্বার অব কমার্স’র নির্বাচনে লড়বেন ২৬ প্রার্থী
Published: 3rd, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে মোট ২৬ জনকে চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন বোর্ডের এক সভায় এ ঘোষণা করা হয়।
তালিকায় জেনারেল গ্রুপে ১৮ জন, এসোসিয়েট গ্রুপে ৭ জন ও ট্রেড গ্রুপে ১জন প্রার্থীর নাম স্থান পায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার সাহা, সদস্য মাহমুদ হোসেন, সদস্য স্বপন চৌধুরী ও নির্বাচন বোর্ডের সচিব হাবিবুর রহমান।
সভায় নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার সাহা বলেন, চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে আপীল বোর্ডের সভায় বাতিলকৃত মনোনয়নপত্রের আপত্তি বিষয়ে শুনানি হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি। এসময় প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের শুনানি শেষে সদস্যপদ নথিপত্র ও ভোটার তালিকা যাচাই করে সকল সদস্যের সিদ্ধান্ত মতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তিনি আরও বলেন, চেম্বারের আসন্ন কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের জন্য ২৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র
দাখিল করার পরে ২৬ জানুয়ারি, নির্বাচন বোর্ডের সভায় সকল সদস্যের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্রের বক্সের ভিতরে ২৬টি মনোনয়নপত্র পাওয়া যায়। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করে জেনারেল গ্রুপের ১৮ জন, এসোসিয়েট গ্রুপের ৭ জন ও ট্রেড গ্রুপের ১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ প্রার্থী তালিকায় স্থান পায় এবং জেনারেল গ্রপের ১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল।
নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- জেনারেল গ্রুপে মাসুদুজ্জামান, মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া, রতন কুমার সাহা, মাহবুবুর রহমান স্বপন, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু জাফর, গোলাম মুহাম্মদ কায়সার, মো.
এসোসিয়েট গ্রুপে আছেন মো. মোরশেদ সারোয়ার, সোহেল আক্তার, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, মোহাম্মদ জাকারিয়া ওয়াহিদ, মোস্তফা এমরানুল হক, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। ও ট্রেড গ্রুপ্রে একমাত্র চুরান্ত প্রার্থী হলেন শ্রী বিকাশ চন্দ্র সাহা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স গঠন ন র য়ণগঞ জ র রহম ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।
তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।