প্লাটিনাম জয়ন্তী পালন করবে ঢাবির ভূগোল বিভাগ
Published: 3rd, February 2025 GMT
প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দীয় খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পৌনে ৫টায় বিভাগটির সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৭৫ বছর উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও মাগুরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো.
তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ তার গৌরবময় ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে। ১৯৪৮ সালে ড. নাফিস আহমেদের নেতৃত্বে বিভাগটি কার্জন হলের ভূতত্ত্ব বিভাগের দুটি কক্ষ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ধীরে ধীরে বিস্তৃত হয়ে বর্তমান ভবনে স্থানান্তরিত হয়। দীর্ঘ এই সময়ে বিভাগটি শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।”
তিনি আরো বলেন, “এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয় ও কোষাধ্যক্ষ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য ভূগোলবিদগণ এতে অংশগ্রহণ করবেন।
মনোয়ার হোসেন খান বলেন, “অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহীদের আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যমে নিবন্ধন করার সুযোগ রয়েছে। অংশগ্রহণকরীরা নিবন্ধন করতে চাইলে ০১৫৫২৪২৪৫২৩ অথবা ০১৭১১৫৮২২৩২ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।”
তিনি বলেন, “এ অনুষ্ঠানে বিভাগের ৭৫ বছরের অর্জন, গবেষণা, শিক্ষা ও উদ্ভাবনের সাফল্য তুলে ধরতে মোট ১২টি সাব-কমিটি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন চমকপ্রদ ইভেন্ট ও পর্যালোচনা পর্ব থাকবে, যেখানে বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণের মাধ্যমে এর গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের পথচলাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।”
এ সময় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “এ উপমহাদেশে ভূগোলের চর্চা মূলত ১০০ বছরের। এ আয়োজন শুধু ৭৫ বছর পূর্তি আয়োজন নয়, ১০০ বছর পূর্তির আয়োজনও বটে।”
সংবাদ সম্মেলনে উদযাপন কমিটির সদস্যরাসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বছর প র পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে
দেশের নারীরা দুঃসময় পার করছে। বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বিবৃতিতে এই বক্তব্য উঠে এসেছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য– ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
দিবসটিকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছিল, গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী।’
এদিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সভা, সেমিনার, মানববন্ধন, শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন সকালে জুলাই অভ্যুত্থানে নারী সহযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। দাবির মধ্যে রয়েছে, নারীর ওপর সহিংসতা বন্ধ; সব প্রতিষ্ঠান, কমিটি, দল ও উপাসনালয়ে নারীর সমান উপস্থিতি; মৌলবাদী ও উগ্রবাদী সংস্কৃতির বিস্তার রোধ; নারীর জীবন ও অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রচলিত আইন সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হবে।
ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুবিধা নিশ্চিতে আইন করার দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। এতে বক্তব্য দেন মো. ইলিয়াস, রোজিনা আক্তার সুমি, ফরিদ উদ্দীন, আমরিন হোসাইন অ্যানি, ইউসুফ শেখ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম। তারা জানান, সংস্কার কমিশনের শ্রম আইন সংশোধনের খসড়া শ্রমিকবান্ধব নয়। সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা পল্টন মোড় ঘুরে এসে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ হয়।
নারীর ওপর সহিংসতা, শোষণ-নির্যাতন বন্ধ এবং নিপীড়কদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা এবং প্রগতিশীল সমাজ দুঃসময় পার করছে। নারীবিদ্বেষ ও সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে।