রাজশাহীতে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে গেছে একটি যাত্রীবাহী বাস। এ ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলার পবা উপজেলার রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের নতুন কসবা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন- রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর গ্রামের তকিবুল ইলামের ছেলে মো.

ইব্রাহিম (২৭) ও একই উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের রহিম মুন্সির ছেলে মো. মারুফ (২৫)। আহত পাঁচজনের মধ্যে দুই জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তারা হলে- পবা উপজেলার ধর্মহাটা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে লিটন মিয়া (৪০) ও গোদাগাড়ী উপজেলার বলিয়াডাইং গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে মো. রাসেল (২৪)। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহত ও আহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করে।

আরো পড়ুন:

ঢাকা-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

মেলা থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় তিন বন্ধু নিহত

রাজশাহীর দামকুড়া থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, “যাত্রীবাহী বাসটি অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমরা ঘটনাস্থলে কাউকে পাইনি। হতাহতের খবর নিতে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে যমুনা থেকে সরলেন আহতরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর কাছ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে গভীর রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে হাসপাতালে ফিরে গেছেন জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা। 

রোববার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে তারা যমুনার সামনে থেকে চলে যান। এর আগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ৭ দফা দাবিতে রাত সোয়া ১২টার দিকে যমুনার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান তারা।

রাত পৌনে দুইটার দিকে যমুনার সামনে হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, আহতদের দাবিগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। আহতদের দাবিগুলো অন্য কোনো সরকার নয়, একমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারই পূরণ করবে। তার এমন আশ্বাসের পর আন্দোলনরত আহতরা যমুনার সামনের সড়ক ছেড়ে যান।

এর আগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে গত শনিবার আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে আন্দোলনে নামেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। রোববার তারা দিনভর রাজধানীর শিশুমেলা মোড়ে মিরপুর সড়ক অবরোধ করেন। সন্ধ্যায় সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রা করেন আহত ব্যক্তিরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহবাগ এলাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পৌঁছান। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকা পড়েন। তখন ওই জায়গায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন আহতরা। রাত পৌনে ১২টার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে তারা যমুনার দিকে এগিয়ে যান। আন্দোলনকারীরা যমুনার সামনে পৌঁছালে সেখানে যান হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাসদস্যরা আন্দোলনকারীদের সামনে অবস্থান নেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই আন্দোলনের আহতদের বিদেশি চিকিৎসকেরা করমুক্ত সুবিধা পাবেন
  • মুন্সীগঞ্জে ৬ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ 
  • গণঅভ্যুত্থানকারীদের বিক্ষোভ ও সরকারের মনোযোগ
  • ন্যূনতম সংস্কারের জন্য ধৈর্য ধরে সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত 
  • দাবি পূরণের আশ্বাসে গভীর রাতে যমুনা থেকে সরলেন আহতরা
  • দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে যমুনা থেকে সরলেন আহতরা
  • আহতদের সুচিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • গণহত্যায় আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা হয়নি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • যমুনার দিকে যাত্রা করা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পুলিশের বাধা