সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকা থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুস সামাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল আহমেদ মানিক, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মুকুল, জেলা তাঁতি দলের আহ্বায়ক হাসান শাহরিয়ার রিপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নতুন কমিটি

কানাইপুরে আ.

লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ৩০ বাড়ি ভাঙচুর

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী এবং সদস্য সচিব আব্দুল আলিম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন বিদ্যমান কমিটি বাতিল করে রহমতউল্লাহ পলাশকে আহ্বায়ক ও আবু জাহিদ ডাবলুকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নতুন কমিটি

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ খবর জানানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির বর্তমান আংশিক আহ্বায়ক কমিটিতে রয়েছেন, আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল হাসান হাদী, যুগ্ম-আহ্বায়ক তাজকিন আহমেদ চিশতী, যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. মনিরুজ্জামান, যুগ্ম-আহ্বায়ক আখতারুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু।
 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে সমস্যা বোধ করছি না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলছেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণে আমরা কোনো সমস্যা বোধ করছি না।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ট্রান্সশিপমেন্ট গতকাল মঙ্গলবার বাতিল করেছে ভারত।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, “এটা (ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল) আমাদের ওপর হঠাৎ করে আরোপিত হয়েছে। সাথে সাথেই আমাদের সব অংশীজন নিয়ে গতকাল আমি মিটিং করেছি। এটাতে আমরা কোনো সমস্যা বোধ করছি না। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা, প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় যাতে কোনো ঘাটতি না হয় এবং আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে যোগাযোগের কোনো ঘাটতি না পড়ে, সেক্ষেত্রে আমরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি আশা করি, এটা আমরা উতরে যাব।”

কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমি এই মুহূর্তে আপনার সঙ্গে শেয়ার করব না। প্রতিযোগিতায় আমাদের যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো কিছু কাঠামোগত, কিছু খরচের দিক থেকে—সব জিনিস সমন্বয় করে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করব। আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখছি না।”

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল বিষয়ে আপনারা ভারতকে কোনো চিঠি দেবেন কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এই মুহূর্তে বিবেচনা করছি না।”

ভারতের দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় কী পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমাদের এখান থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টনের মতো ম্যাটেরিয়াল সড়ক পথে এখান থেকে ভারতের বিভিন্ন বন্দর বিশেষ করে দিল্লি, কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হতো। আমরা আশা করি, এই ম্যাটেরিয়ালগুলো বহনের জন্য নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান করব। সাধারণত ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে পণ্যগুলো যেত।”

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, ভেরি গুড। আমাদের বাণিজ্যের মধ্যে স্থিরতা দেখা দেবে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে অনলাইনে। আমরা আমাদের কর্মসমষ্টিগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমরা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরব।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “স্থগিতাদেশ তো সাময়িক সময়ের জন্য। এ বিষয়ে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে করণীয় আছে। তাদের আকাঙ্ক্ষা তো শেষ হয়ে যায়নি। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে কতটুকু করতে পারব, সেই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছি এবং সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”

তিনি বলেন, “মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে সমন্বয় করা যায়। আমরা সে লক্ষ্য অর্জনেই কাজ করছি।”

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ